সাহিত্য অকাদেমির উদ্যোগে সন্তেশিবর লিঙ্গান্নাইয়া ভৈরাপ্পা স্মৃতিতে শোকসভার আয়োজন

মেহের সেখঃ

সাহিত্য অকাদেমির উদ্যোগে সাহিত্য অকাদেমির প্রধান কার্যালয় দিল্লিতে ১৪ অক্টোবর প্রখ্যাত কন্নড় লেখক সন্তেশিবর লিঙ্গান্নাইয়া ভৈরাপ্পার স্মৃতিতে একটি শোকসভার আয়োজন করা হয়। যেখানে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার লেখকেরা তাঁকে স্মরণ করেন। এদিনের শোকসভার প্রথমে সাহিত্য অকাদেমির সচিব কে. শ্রীনিবাসরাও উনাকে ইতিহাস ও নৈতিকতার সব থেকে বড়ো লেখক হিসেবে উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন যে তিনি একজন দার্শনিকও ছিলেন এবং তিনি তাঁর নিজের লেখায় সত্যকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। কন্নড় লেখক বাসবরাজ সুন্দর ১৯৭৯ সালে তাঁর সাথে প্রথম সাক্ষাৎকারের কথা স্মরণ করতে গিয়ে বলেন যে সে যখন এম. এ ক্লাসের শিক্ষার্থী হয়ে তাঁর কাছে জিজ্ঞেস করেছিলেন সত্য ও সুন্দরের মধ্যে কোনটাকে তিনি বেছে নেবেন তখন তিনি দ্রুততার সাথেই উত্তর দিয়েছিলেন যে তিনি সত্যকেই বেছে নেবেন। কারণ সৌন্দর্য সত্যের উপরই নির্ভরশীল। তেলেগু লেখিকা মৃণালিনী সী বলেন তাঁর উপন্যাস গুলো গভীর স্রোতের মতো প্রবহমান এবং সেই স্রোতে যে কোনো পাঠককে সহজেই জুড়ে নিতে সক্ষম হয়। হিন্দী লেখক রাজকুমার গৌতম বলেন তাঁর লেখায় মানুষের স্বভাবজাত ছোটো ছোটো ব্যবহার গুলোও বড়ো হয়ে দেখা দিয়েছে। ওড়িয়া লেখক গৌরহরি দাস তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে বলেন যে তিনি আমাদের দেশের একজন কিংবদন্তী ছিলেন। গুজরাটী লেখক ভাগ্যেস ঝাঁর কথায় উঠে আসে ভারতীয় বৈদিক সাহিত্যকে তাঁর বিশ্বব্যাপী রূপ দেওয়ার প্রসঙ্গটি। রাজস্থানী লেখক অর্জুনদেব চারণও তাঁর বৈদিক সাহিত্য চর্চা নিয়ে আলোচনা করেন। হিন্দী লেখক বলরাম তাঁর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন যে তাঁর উপন্যাসের মূলসূত্র ভারতীয়তা। কন্নড় লেখক মনু বলিগার তাঁর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন যে তার সাথে সন্তেশিবর লিঙ্গান্নাইয়া ভৈরাপ্পার সম্পর্ক ত্রিশ বছরের বেশি সময়ের। সাহিত্য অকাদেমির অধ্যক্ষ ড. মাধব কৌশিক তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে বলেন যে তাঁর লেখা গুলো কেবল ঐতিহাসিক নয় ব্যক্তিগত জীবন শৈলীও সেগুলোর সাথে জুড়ে রয়েছে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাহিত্য অকাদেমির উপসচিব ড. দেবেন্দ্র কুমার দেবেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *