বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেন কাজল শেখ

নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ

আজ সিউড়িতে সভাধিপতি পদে হিসাবে শপথ নিলেন কাজল শেখ। নানুরের এই নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হবার পর কোর কমিটিতে স্থান হয় কাজল শেখের। বগটুই কান্ডের পর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ঐ এলাকার দ্বায়িত্ব ও দেওয়া হয়। বগটুই এলাকায় তৃণমূলকে সাফল্য এনে দেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে এত দিন দ্বায়িত্ব পালন করেছেন বিকাশ রায় চৌধুরী। এবার দলীয় নেতৃত্ব বিকাশ রায় চৌধুরীকে সরিয়ে দ্বায়িত্ব দিলো কাজল শেখকে। এবারই প্রথম জেলা পরিষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪৪হাজার ভোটে জয়লাভ করেন। আর কাজল শেখের সাংগাঠনিক ক্ষমতায় সংখ্যালঘু এলাকায় ভালো ফল করে তৃণমূল। তাই এবার সভাধিপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিষেক হলো কাজল শেখের। বুধবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে শপথ নিতে আসেন কাজল শেখ। বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায় ৫২জন জয়ী সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মাল, বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী সহ অন্যান্য বিধায়ক ও নেতৃত্ব। এদিন সহ সভাপতি করা হয়েছে মহঃ বাজার ব্লকের স্বর্ণলতা সরেণকে। দ্বায়িত্ব নিয়ে কাজল শেখ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে কাজ করবেন। যেখানে সেখানে উন্নয়নের কাজ বাকি আছে সেগুলো দলমত নির্বিশেষে করার চেষ্টা করবো। আমি এখন থেকে অঞ্চলে অঞ্চলে ঘুরবো। কোনো রকম দুর্নীতি সহ্য করবো না। আমি খাবো না, কাউকেও খেতে ও দেবো না। রাজনীতি আমার পেশা নয়, নেশা। এই রাজনীতি করতে গিয়ে হারাতে হয়েছে আমার দুই ভাই ও বাবাকে”। এদিকে কাজল শেখের অনুগামীদের সর্তক করে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, আপনাদের ভাইজান সভাধিপতি হয়েছেন ভালো জিনিষ কিন্তু ভাইজানের নাম যেন খারাপ না হয় সেটা আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *