
অসিত রঞ্জন গোসাইঃ
চাঁদটা আজ অঝোরধারায় কাদঁছে কেমন;
অশ্রুবারি পড়ছে ঝরে অনুক্ষণ।
নিভাশশীর গহ্বর থেকে ঝিরঝির ঝিরঝির অনুরণন। চাঁদের কলঙ্ক দিচ্ছে ধুয়ে
রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টিক্ষেপণ।
নীল নবঘন ভাদর গগন কষিত কালো আজ
কিসের শোকে! মুহ্যমান নক্ষত্র মুখ লুকিয়ে মরে লাজে।
কিসের লজ্জা, কিসের লাজ, কিসের দৈন্য?
এতো ধারাপাতের অন্দরসজ্জার কৌলীন্য।
চাঁদের অশ্রুবারি ছুঁতে চাই আমি। আদুল গায়ে
দু’হাত পাতা। ওষ্ঠ অধর তৃপ্ত করে নিতে।
আল ডিঙিয়ে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
যেতেও রাজি। অশ্রুবারির ছোঁয়া পেতে।
নিভাশশীর গা’ ধোয়া জল, সে তো বৃষ্টির
প্রেমসিক্ত পরশ। বৃষ্টি তোমাকে ছুঁতে চাই।
আমার পাশের বাড়ির বৃষ্টি;
তোমার পরশখানি দিও।
ছুটে যাই অনন্ত দিগন্ত পেরিয়ে, চৌহদ্দির
সীমানা ছাড়িয়ে। নাগাল পেতে তোমার সৃষ্টির।
আমার আদুল শরীর বারবার ভেজাতে চাই
তোমার সোহাগে। আমার পাশের বাড়ির বৃষ্টি।
বৃষ্টি তোমাকে ছুঁতে চাই।
চাঁদটা আজ অঝোরধারায় কাদঁছে কেমন,
অশ্রুবারি পড়ছে ঝরে অনুক্ষণ।