আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্লাবে ঢোকা দুই দুস্কৃতিকে আটক করে রামপুরহাট থানার পুলিশ

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

হিন্দি সিনেমার কায়দায় পিস্তল নিয়ে দাদাগিরি তো কখনো আবার এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা।এরকমই দুটি ঘটনা প্রতক্ষ্য করলেন রামপুরহাট শহরবাসী সেইসাথে সংবাদ মাধ্যমে ও দেখেছেন অনেকেই। একমাসের ব্যবধানে পরপর দুটি ঘটনাতেই দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি এবং দাদাগিরি করায় স্বভাবতই রামপুরহাট শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। প্রথম ঘটনা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে আচমকা পিস্তল নিয়ে ঢুকে পড়ে এক যবুক। তার এক রোগী এখানে ভর্তি রয়েছে তাকে দেখা করতে দেওয়ার অনুমতি স্বরূপ ডাক্তার, নার্স তথা হাসপাতালে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ছিল মূল লক্ষ্য। সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই ফের দুই দুস্কৃতি দিনের বেলা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রামপুরহাট শহরের মধ্যে তৃণমূল পার্টি অফিস সংলগ্ন একটি ক্লাবে ঢুকে পড়ে। সেখানে কেরাম বোর্ড খেলা সহ গল্পের মধ্যে মত্ত লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। অনেকে স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে প্রাণ বাঁচাতে ঢুকে পড়ে। উল্লেখ্য সেই মুহুর্তে সেখানে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আশীষ ব্যানার্জী। তিনিই তড়িঘড়ি স্থানীয় থানায় খবর দেন এবং পুলিশ এসে আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই দুস্কৃতিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। আজ বৃহস্পতিবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের মধ্যে উজ্জ্বল সেখকে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতে এবং কালিমুদ্দিন সেখকে চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে জানা যায়। বিশেষ উল্লেখ্য জেলার বুকে একদা বোমা ও অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে পরস্পর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বহু চর্চিত নাম বগটুই গ্রাম, সেই গ্রামেই ধৃতদের বাড়ি বলে জানা যায়। পুলিশ জানিয়েছেন ধৃতদের কাছ থেকে গুলি ভর্তি একটি নাইন এম এম পিস্তল পাওয়া গেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *