শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের “ময়নাডাল” আজও “কীর্তন গ্রাম” হিসেবে চিহ্নিত। মহাপ্রভুর পদধূলিতে ধন্য এই ময়নাডাল ধাম জেলার বুকে এক বৈষ্ণব তীর্থভূমি। কাটোয়ায় কেশব ভারতীর কাছে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর শ্রীচৈতন্যদেব এসেছিলেন রাঢ়বঙ্গে। পথক্লান্ত চৈতন্যদেব বীরভূমের এই ময়নাডাল গ্রামেরই খিরনী গাছের তলায় বিশ্রাম নিয়েছিলেন বলে আজও মানুষের বিশ্বাস। বহুদিন আগে এখানে নির্মিত হয়েছে মহাপ্রভু মন্দির। সম্প্রতি এই মন্দিরের সংস্কার করা হয়। চলে ৩৬৫ দিন ভোগ আরতি। এখন চলছে দামোদর মাস। বিজয়া দশমীর পরের একাদশী থেকে উত্থান একাদশী এই ৩০ দিন নিয়ম সেবার মাস হিসেবে চিহ্নিত। এই মাসে ময়নাডালে মহাপ্রভুর কাছে দৈনিক পাঁচবার ভোগ আরতি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন বহু ভক্তের সমাগম হয় এই দামোদর মাসে। সে কথায় জানিয়েছেন মহাপ্রভু সেবায়েত সমিতির সদস্য তথা কীর্তনীয়া নির্মলেন্দু মিত্রঠাকুর। ৩ নভেম্বর দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে। মন্দিরের পূজারী তপন ব্যানার্জি ও অমল চক্রবর্তী মহাপ্রভুর কাছে ভোগ ও আরতি নিবেদন করেন। দুপুর ১টা নাগাদ মহাপ্রভুর এই ভোগ আরতি দর্শনের জন্য মন্দির প্রাঙ্গণে জড় হয় বহু ভক্ত-পূণ্যার্থী।পরে উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে অন্নপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।