বীরভূমের বোলপুরে শিক্ষক সমাজের কর্মীসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

শম্ভুনাথ সেনঃ

বীরভূমের বোলপুর গীতাঞ্জলী প্রেক্ষাগৃহে জেলায় কর্মরত অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে আজ ২৮ এপ্রিল জেলা তৃণমূল-কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ ড.আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল সেখ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, শিক্ষক সংগঠনের জেলা নেতা ড.প্রলয় নায়েক প্রমুখ৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষক সমাজের ভূমিকা কি হবে এই নিয়ে মূলত আলোকপাত করা হয় বলে জানা গেছে। পরে এই রুদ্ধদ্বার কর্মিসভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী৷ বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। শীতলকুচির রক্তের দাগ তার হাতে লেগে আছে। সেই কারণে বিজেপি ভিতর থেকে বাতিল করালো কী না তা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি রাজ্যপাল দ্বারা নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যরা ‘বেআইনি’ বলে তিনি জানিয়েছেন।


সম্প্রতি প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমরা শীর্ষ আদালতে এই বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করেছি৷ সেই রায়ের অপেক্ষায় আছি৷ এইভাবে একসাথে এতজনের চাকরি বাতিল করা যায় না বলে তিনি অভিযোগ তোলেন৷”
তবে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে এই চাকরি হারারা ভোট কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন৷ তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এটাই আমাদের প্রশ্ন৷ চাকরি নেই, তাহলে ভোটকর্মী হিসাবে নির্বাচন কমিশন কিভাবে তাদের কাজ করালো৷ তাহলে প্রমাণ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন তাদের অযোগ্য মনে করেনি৷ এই পয়েন্টটা সুপ্রিমকোর্টে তুলে ধরা হবে বলে তিনি স্পষ্ট জানান৷ অন্য এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান–
“এসএসসি স্বশাসিত একটি সংস্থা৷ কিসের ভিত্তিতে তারা যোগ্য-অযোগ্য বিচার করেছে, সেটা আমি বলতে পারব না৷ তারাই বলতে পারবে৷” এখন প্রায় ২৬ হাজার চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ দেশের শীর্ষ আদালতের হাতে৷ সেই আদালতে এই বিষয়ের সুবিচার পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *