সেখ ওলি মহম্মদঃ
শ্যামদেশে উড়লো ‘শ্যামা’র জয়নিশান। বীরভূম তথা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতকে আন্তর্জাতিক গৌরবের অধিকারী করলো দুবরাজপুরের কিশোরী তিতাস মুখার্জি। হিন্দুস্তান আর্ট এণ্ড মিউজিক সোসাইটির উদ্যোগে এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ভারত সংস্কৃতি উৎসব আয়োজিত হয় থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককের রাজমঙ্গলা ইউনিভার্সিটির অডিটরিয়ামে। সেখানে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রঞ্জনবাজারের তিতাস মুখার্জি রবীন্দ্র নৃত্য এবং আবৃত্তিতে প্রথম স্থান অধিকার করে। তিতাস এখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদেশ্বরী বিদ্যা মন্দির ফর্ গার্ল্স স্কুলে। তাঁর বাবা তন্ময় মুখার্জি পেশায় স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী এবং মা রঞ্জিতা মুখার্জি স্কুল শিক্ষিকা। তিতাস ছোট থেকেই নৃত্য, আবৃত্তি, কবিতায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করে এবং প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থান লাভ করে। কিন্তু এবারে ভারতকে আন্তর্জাতিক গৌরবের অধিকারী করল তিতাস। তিতাস মুখার্জি জানায়, ভারত সংস্কৃতি উৎসবে প্রথমে আমি বর্ধমানে অংশগ্রহণ করি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের বহু প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। সেখানে আমি রবীন্দ্র নৃত্যে এবং আবৃত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে প্রথম হই। তারপর থাইল্যান্ডে যাওয়ার সুযোগ পাই। সেখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। তাঁদের মধ্যে রবীন্দ্র নৃত্য ও আবৃত্তিতে আমি প্রথম স্থান অধিকার করি। এর পেছনে আমার নৃত্য গুরু সুরেশ দাস এবং আবৃত্তি গুরু নূপুর মুখার্জির অবদান আছে। নৃত্য গুরু সুরেশ দাস জানান, তিতাস সবার মুখ উজ্জ্বল করেছে। তার জন্য আমরা সবাই গর্বিত। তিতাস আরো বড় হোক। পাশাপাশি তিতাস-এর মা রঞ্জিতা মুখার্জি জানান, আমার মেয়ের সাফল্যে আমরা খুবই খুশি। বর্ধমানে আয়োজিত ভারত সংস্কৃতি উৎসবে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে রবীন্দ্র নৃত্য ও আবৃত্তিতে প্রথম হওয়ার পর তার বাবা ও আমি তাঁকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাই। সেখানেও সে প্রথম স্থান অধিকার করে। তিতাস-এর দাদু ইন্দিরা গান্ধী ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রিন্সিপাল ও বিশিষ্ট আইনজীবী বীরেন মুখার্জি জানান, এটা গর্বের বিষয় যে আমার নাতনি থাইল্যান্ডে আয়োজিত ভারত সংস্কৃতি উৎসবের দুটি ইভেণ্টে প্রথম স্থান পায়। তিনি আরো জানান, শিক্ষার মধ্যে নৃত্য এবং আবৃত্তি একটি অঙ্গ।