শম্ভুনাথ সেনঃ
জামাইষষ্ঠীর দিন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বোধগ্রামে। এদিন শ্বশুরবাড়িতে এসে রাত্রিতে স্ত্রীর গলা কেটে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্বামী। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, মেয়ে পদ্মা বাউরির বিয়ে হয় ইলামবাজার ব্লকের জয়দেব কেন্দুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর গ্রামের রাজকুমার বাউরির সাথে। পরিবার সূত্রে জানা যায় বিয়ের পর থেকেই স্বামী রাজকুমার ও তার স্ত্রী পদ্মার মধ্যে ছিল বিবাদ। যদিও মাত্র মাস চারেক আগেই তাদের বিয়ে হয়। মনোমালিনের কারণে পদ্মা বাউরী ছিলেন তার বাপের বাড়িতে। গত ১২ জুন জামাইষষ্ঠীর দিন রাজকুমার বাউড়ি তার শ্বশুরবাড়ি বোধগ্রামে যায়। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর একই রুমে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু সকালবেলায় দুজনকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।তড়িঘড়ি দুবরাজপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে পদ্মা বাউরীকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত স্বামী রাজকুমার বাউড়িকে সদর সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সে এখন চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্নচিহ্ন। আত্মীয় সূত্রে জানা গেছে স্বামী স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।যদিও রাজকুমার খুন করেনি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে। তাহলে এদিন রাতে এমন ঘটনা কিভাবে ঘটলো? একই বাড়ির মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল অথচ কেউ কোনো আওয়াজ শুনতে পায়নি।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।