সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বুধবার রাত্রে খয়রাশোল ব্লক এলাকার বড়রা, নাকড়াকোন্দা, নওপাড়া সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্লক স্তরের বড়রা গ্রামের তিন তৃণমূল নেতা নেত্রী ও তাদের পরিবারকে জড়িয়ে বেশ কিছু কুরুচিকর মন্তব্য জনিত লিফলেট পড়ে থাকতে দেখা যায়। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে ছড়িয়ে গেছে বলে অনুমান। আর তা জনসমক্ষে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কুরুচিকর পোষ্টারের প্রতিবাদে খয়রাশোল ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে শুক্রবার কাঁকড়তলা থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরবর্তীতে ব্লক মহিলা তৃণমূল নেতৃত্ব ও ব্লক তৃণমূল কোর কমিটির সদস্যগন মিলিত ভাবে কাঁকড়তলা থানার ওসির সাথে দেখা করেন। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য তৃণমূল নেত্রীরা এদিন খয়রাশোল ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী ও তার পুত্র আকাশ অধিকারীর দিকেই সন্দেহের আঙুল তোলে। যদিও এ বিষয়ে কাঞ্চন অধিকারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি একজন শিক্ষক। এধরনের জঘন্য কাজকে ঘৃণা করি। আমি একাজ করতে পারি না। প্রয়োজনে প্রমাণ করুক, দোষী ব্যাক্তি শাস্তি পাক চাই। এটি সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত আক্রোশ। তাছাড়া পিতা পুত্রের নামে অভিযোগ সম্পর্কে বলেন-পিতা পুত্র একসাথে জড়িয়ে যারা বলছে তারা কি শিক্ষিত না অশিক্ষিত, তারা কি মানুষ না জানোয়ার।অন্যদিকে এক সাক্ষাৎকারে বিক্ষোভ প্রদর্শন সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল মহিলা নেত্রী রুনু সিংহ। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদিকা অসীমা ধীবর, খয়রাসোল ব্লক মহিলা তৃণমূল নেত্রী প্রান্তিকা চ্যাটার্জী, কেনিজ রাসেদ প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কোর কমিটির আহ্বায়ক মৃনাল কান্তি ঘোষ ও শ্যামল গায়েন এবং দুই সদস্য কাঞ্চন দে ও উজ্জ্বল হক কাদেরী।