শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ ৮ শ্রাবণ। পাঁচটা দিনের থেকে আলাদা একটি দিন। বীরভূমের ভূমিপুত্র অমর কথা সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। বীরভূমবাসীর কাছে বড় গর্ব এবং অহংকারের দিন। বীরভূম জেলা প্রশাসন ও লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে এবং “বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর” সহযোগিতায় তাঁর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। ফুল আর মালায় সেজে ওঠে কথাশিল্পী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতি ও ধাত্রী দেবতা। তাঁর স্মরণে সকালেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় চলে গ্রাম পরিক্রমা। ছাত্র-ছাত্রী, শিল্পী কলাকুশলী, সর্বোপরি গ্রামের সাধারণ মানুষজন উৎসাহের সঙ্গে এই শোভাযাত্রায় পা মেলান। উৎসবে মাতোয়ারা হয় রাঙ্গামাটির মানুষজন।
সারাদিন ধরে তারাশঙ্করের ধাত্রীভূমি সতীপীঠ লাভপুরের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।তাঁর অমর সৃষ্টিশীল সত্তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনে শুরু হয়েছে বছরভর তারাশঙ্কর চর্চা। জেলার সর্বাধিক প্রচারিত সেরা সাপ্তাহিকী “নয়াপ্রজন্ম”কে সে কথা জানিয়েছেন বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর সভাপতি তথা শিক্ষক উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, তারাশঙ্করের বাসভূমি “ধাত্রীদেবতা” পরিবারের উত্তরসুরিরা লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতিকে দান করেছেন।
ধাত্রীদেবতায় গড়ে উঠেছে “তারাশঙ্কর সংগ্রহশালা”। তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিয়েছে ‘বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী’। পুরাতত্ত্ব বিভাগের আর্থিক সহায়তায় সম্পূর্ণ বাড়ীটি সংস্কার করা হয়েছে। জেলা পরিষদের আর্থিক সহায়তায় গবেষকদের থাকার জন্য গড়ে উঠেছে তারাশঙ্করের পিতার নামে নামাঙ্কিত “হরিদাস ভবন”। এদিন এই জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বীরভূম জেলা সমাহর্তা বিধান রায়, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, তারাশঙ্কর গবেষক আদিত্য মুখোপাধ্যায় সহ তারাশঙ্কর প্রেমী বহু গুণী ব্যক্তিত্ব।