সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
সম্প্রতি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হতেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলতে বলা ভালো মুখ খুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। সেই সাথে নতুন সংযোজন শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির পোষ্টার। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই পোষ্টার লাগিয়েছে তা সবার অজানা। রবিবার সকালেই বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর ও কান্তোড় গ্রামে দুর্নীতি বিষয়ক শ্লোগান লেখা পোষ্টার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়। যশপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মুন্সী মোজাম্মেল হক ওরফে কাঞ্চন এবং দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পরিমল সৌ এর নাম দিয়ে পড়েছে দূর্নীতি লেখা যুক্ত পোস্টার। উক্ত নেতা বা তৃণমূল কর্মীদের বিলাশ বহুল বাড়ি, জমি জায়গা সহ বিপুল সম্পত্তির মালিকানায় রয়েছে দুর্নীতি, এই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় পড়েছে পোষ্টার। পোষ্টারে লেখা কথার ধরণ দেখে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর বহিপ্রকাশ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখার্জির দাবি, অনেকে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। যশপুরের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী গ্রাম কান্তোড়, পছিয়ারা সহ একাধিক গ্রামে পোষ্টারে পোষ্টারে ছয়লাপ। সেগুলি জানাজানি হওয়া মাত্র পোষ্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। পোষ্টারে নাম থাকা দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পরিমল সৌ অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আরও জানান, যাঁরা এই ধরনের পোস্টার লিখেছে তারাই বলতে পারবে সত্যটা কি। তবে তিনি ব্লক নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন। অন্যদিকে দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, তৃণমূল নেতাদের নামে যে পোষ্টার পড়েছে আমার জানা নেই কারা দিয়েছে। তবে এই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা দায়ী। তাঁরা মানুষকে প্রতারণা করেছে। মানুষ গরীব থেকে গিয়েছে আর নেতারা বড়লোক হয়েছে৷