শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের মুরারই থানার ভাদীশ্বর শ্যামাপদ রায় বিদ্যাভবন সংলগ্ন ঢিবিতে আজ ৫ নভেম্বর পুজো-পাঠের মধ্য দিয়ে প্রথম উৎখননের কাজ শুরু হল। দীর্ঘ প্রায় ১০০ বছর পর এই উৎখনন এর কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষের মনে নানা কৌতূহল। সবে কাজ শুরু হয়েছে তাই এখনই কিছু মেলা সম্ভব নয়। তবে এই খননের পর নতুন কিছু প্রত্নতত্ত্ব পাওয়া যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন মুরারই কলেজের অধ্যাপক তথা আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক অনির্বাণজ্যোতি সিংহ। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধিকর্তা ড. রাজেন্দ্র যাদব, সহ-অধিকর্তা ড. পি.কে. নায়েক, বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক ও টেরাকোটা পত্রিকার কর্ণধার প্রদীপ কর, ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণের বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক ড.সপ্তর্ষি চৌধুরী, নবীন প্রত্ন গবেষক সর্বেশ্বর রবিদাস প্রমুখ।
সহ অধিকর্তা ড. পি.কে. নায়েক বলেন, এই উৎখননের কাজ আগামী দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলবে। তবে ঢিবিটির উপর গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি মন্দির গড়ে তোলায় এখানকার খননকার্যে খানিকটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। ঢিবিটিকে ঘিরে গড়ে ওঠা অনেক মিথ ভেঙে যাবে। নির্মিত হবে নতুন ইতিহাস। অধ্যাপক অনির্বাণ বাবু আক্ষেপ ব্যক্ত করে বলেন এই খননের কাজ অন্তত ৫০ বছর আগে হওয়া উচিত ছিল। কারণ এই ঢিবির প্রায় ৫০ শতাংশ কালের কপোল তলে হারিয়ে গেছে। যাই হোক বিলম্বে উৎখননের কাজ শুরু হলেও এলাকাবাসী উৎসুক হয়ে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এই খননের পর বীরভূমের এই মুরারই এলাকা থেকে নতুন কিছুর সন্ধান মিলবে।
ছবি ও ভিডিও: দিপু মিঞা, মুরারই বীরভূম
মুরারই লিখতে ৪ বার ভুল করে “মুরই” লেখা হয়েছে।
মুরারই শব্দটি কোন লাইনে মুরই লেখা হয়েছে?