লক্ষ্মীর সঙ্গে নারায়ণ পূজিত হন কোজাগরী পূর্ণিমার দিন

দীপককুমার দাসঃ

লক্ষ্মীর সঙ্গে নারায়ণ পূজিত হন মহম্মদবাজারের খড়িয়া গ্রামের সেনগুপ্ত বাড়িতে। ৪২ বছর ধরে ধুমধামের সঙ্গে পূজিত হয়ে আসছেন কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে লক্ষ্মী দেবীর সঙ্গে নারায়ণও।  ১৯৮০ সালে খড়িয়া গ্রামে এই পুজোর সূচনা করেন শিবশংকর সেনগুপ্ত। পরবর্তীতে তাঁর তিন ছেলে পালাক্রমে এই পুজো চালিয়ে আসছেন। এ বছর এই পুজোর দ্বায়িত্ব পড়েছে আশীষ সেনগুপ্তর। এবারে প্রতিমাতেও লক্ষ্মীর পাশেই আছে নারায়ণ। মাথার পিছনে বাসুকীনাথ। পরিবারের বর্তমান সদস্যরা প্রাচীন নিয়ম নেমেই ধুমধামের সঙ্গে এই পুজো করে চলেছেন। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে চার প্রহরে চারবার পুজো হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে রাতে কীর্তনগানের আয়োজন করা হয়। পুজোর পরেরদিন দুপুরে খিঁচুড়ি ও পঞ্চব্যঞ্জন সহ ভোগ খাওয়ানো হয় সমস্ত গ্রামবাসীদের। তিনদিন ধরে চলে এই লক্ষ্মী পুজো। পরিবারের সদস্য পারিজাত সেনগুপ্ত ও নিতাই সেনগুপ্ত জানান,  সেনগুপ্ত পরিবারের পুজো হলেও গ্রামের মানুষেরা এতে সামিল হন। প্রতিবছর ধুমধামের সঙ্গেই পালিত হয় লক্ষ্মীপুজো। লক্ষ্মীর সঙ্গে একই চালায় তৈরি করা হয় নারায়ণের মূর্তি। প্রতিবছর লক্ষ্মী ও নারায়ণ একই সঙ্গে পুজো করা হয় এখানে। পুরনো রীতি মেনেই এবার ও পুজো সম্পন্ন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *