নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ
নেতাজী সংস্কৃতি মঞ্চ একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন। নেতাজীর জন্মশতবর্ষকে সামনে রেখে ১৯৭৫ সালে ভাবনা শুরু হয়েছিল।বিশেষ ভূমিকা ছিল সংবদ্ধ নামে একটি সংগঠনের। কলেশ্বরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ নবকিশোর হাজরা, স্বাধীনতা সংগ্রামী দুর্গা ব্যানার্জী প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতাজীর নামে চেয়ার স্থাপনের দাবি জানিয়েছিল এই সংগঠন। সেই দাবি পরবর্তীতে রূপায়িত হয়েছিল। দীর্ঘ ২৭ বছরে সেই সংগঠন এখন সুসংগঠিত। বহু বিশিষ্ট মানুষ যুক্ত হয়েছেন এই সংগঠনের সঙ্গে। ২৩ জানুয়ারি কোটাসুর ব্লক কার্যালয়ে নেতাজী প্রণাম অনুষ্ঠানে এ কথা বললেন সংগঠনের সভাপতি বিজয়কুমার দাস। সংগঠনের সম্পাদক হিমাদ্রিশেখর দে এই সংগঠনের কর্ণধার। বহু মানুষকে এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করে সংগঠনকে শক্ত মাটিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সম্পাদক হিমাদ্রিশেখর বললেন, কৃতী ছাত্র ছাত্রী সম্বর্ধনা, নানা বিষয়ে আলোচনাচক্র, এলাকার মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ, গ্রামীণ উন্নয়ন, বীরভূম – মুর্শিদাবাদের কবি লেখকদের সাহিত্য সভা, বিশিষ্ট মানুষদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন,স্বাস্থ্য শিবির, ইত্যাদি নানাবিধ কর্মসূচি চলে আসছে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে। উচ্চ আদালতের মাননীয় প্রাক্তন বিচারপতি ডঃ শ্যামল গুপ্ত এই সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা। ২৩ জানুয়ারি নেতাজী প্রণাম অনুষ্ঠানেও ডঃ শ্যামল গুপ্ত, বিডিও ডঃ দীপাঞ্জন জানা, ময়ূরেশ্বর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জয়ন্ত দাস উপস্থিত থেকে সংগঠনের কার্যকলাপের প্রশংসা করলেন। এদিনও দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হল। কলেশ্বর মেলাতেও নেতাজী সংস্কৃতি মঞ্চ সংগঠিত শক্তি হিসাবে কাজ করে চলেছে। ” লোকমানস” নামে একটি পত্রিকাও প্রকাশ করে চলেছে এই সংগঠন। লোকমানস এর দ্বাবিংশতম সংকলনটি নেতাজীকে নিয়ে নানা মূল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ লেখা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। নেতাজী বিষয়ে এই সংখ্যাটি অত্যন্ত মূল্যবান এবং সংগ্রহযোগ্য – এই মত অনেকেরই। কলেশ্বরের নেতাজী সংস্কৃতি মঞ্চ মিলিয়েছে সারা জেলার গ্রামীন কবি লেখক, সমাজসেবী এবং শিক্ষাব্রতীদের। এভাবেই জেলায় অগ্রগণ্য হয়ে উঠেছে নেতাজী সংস্কৃতি মঞ্চ।