বীরভূমের তাঁতিপাড়ায় কেন্দ্রীয় রেশম বোর্ডের উদ্যোগে “টেকনোলজি আপগ্রেডেশন প্রোগ্রাম”

শম্ভুনাথ সেনঃ

বীরভূমের রাজনগর ব্লকের তাঁতিপাড়া একটি তন্তুবায় প্রধান গ্রাম। অন্ততঃ ৫০০ টি পরিবারের জীবন-জীবিকা আজও প্রত্যক্ষভাবে এই তাঁতশিল্পের উপর নির্ভরশীল। তাঁতিপাড়া গ্রাম ঢুকলেই এখনো শোনা যায় মাকুর ঠকা ঠক শব্দ। সকাল থেকেই পুরুষদের সাথে বাড়ির মা-মেয়েরাও লেগে পরে তাঁতের কাজে। অন্যদিকে পরোক্ষভাবে এই তাঁতশিল্পকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক হাজার মানুষ রুটি- রোজগার করে। তবে সেই পুরোনো থাই পদ্ধতিতে তসর কাটা থেকে মুক্ত হয়েছে এবার তাঁত শিল্পীরা। এখন বুনিয়াদ রিলিং মেশিনের সাহায্যে উন্নত পদ্ধতিতে তসরের গুটি থেকে বের করা হচ্ছে সুতো। আর এই প্রযুক্তিগত কারণে সুতোর গুনগত মান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি কম সময়ে অধিক উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় রেশম বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় রাজনগরের এই তাঁতিপাড়ায় নতুন খাদি ভবনে গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হলো মহিলা তাঁতশিল্পীদের নিয়ে “টেকনোলজি আপগ্রেডেশন প্রোগ্রাম”। বৈদ্যুতিক শক্তিতে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তসর সুতো উৎপাদনের এই সচেতনতা শিবিরে প্রশিক্ষণ পেয়ে স্বভাবতই খুশি শতাধিক মহিলা তাঁতশিল্পীরা। উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী,জেলা পরিষদের সদস্য রিয়াশ্রী দাস, স্থানীয় তাঁতিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মলয় রায়,সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ডের সিনিয়ার সাইন্টিস্ট সৌরভ মজুমদার,রেশম বিভাগের বীরভূম জেলা উপনির্দেশক বিদ্যুৎ লায়েক প্রমুখ আধিকারিকরা। সিল্ক বোর্ডের সিনিয়ার টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ধীরেশ্বর মৈত্র নয়াপ্রজন্মকে জানিয়েছেন তাঁদের প্রকল্প-পরিকল্পনার কথা। যাতে করে তাঁত শিল্পীরা কম পরিশ্রমে বেশি মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *