সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলি মাঠে অবতীর্ণ হয়েছে। প্রচন্ড গ্রীষ্মের দাবদাহ উপেক্ষা করেই চলছে রাজনৈতিক কর্মসূচি। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল গরু পাচার মামলায় জেলবন্দী। যার প্রেক্ষিতে বিরোধী শিবিরে অক্সিজেন বৃদ্ধি পেয়েছে বলা চলে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে অনুব্রতহীন তাঁর গড়ে বিজেপি পরপর মিটিং সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের মাটিকে শক্তিশালী করে নিতে বদ্ধপরিকর। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পুরাতন মাটি যেন কোথাও ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে তারাও অতি সক্রিয়। তাইতো গত ৯ এপ্রিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা জনসভা হিসেবে আজ মঙ্গলবার মুরারই এলাকার পশুহাটে তৃণমূল পাল্টা জনসভা সংগঠিত করে। বাংলার মানুষের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, ১০০দিনের কাজ, আবাস যোজনার প্রকল্প সহ রাজ্যকে একাধিক প্রকল্প থেকে বঞ্চনার প্রতিবাদে মুরারই ১নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলার দুই সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মাল, ডেপুটি স্পিকার আশীষ ব্যানার্জী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা পর্যবেক্ষক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ নেতৃত্ব। বক্তব্যের মাধ্যমে বলেন তৃণমূল একটা বড় দল, যৌথ পরিবার নিজেদের মধ্যে মান অভিমান থাকতে পারে সেগুলো মিটিয়ে নিতে হবে নিজেদেরকে। কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারের প্রতি বারবার বঞ্চনা করে চলেছে। আবাস যোজনা, ১০০ দিনের টাকা কেন্দ্র শুধু পশ্চিমবঙ্গের টাকা আটকে রেখেছে। অন্য কোনো রাজ্যের টাকা আটকে নেই, ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে দিয়েছেন কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষীভান্ডার, সবুজ সাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কথা জনসমক্ষে তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিজেপি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তীব্র ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে বাংলার মানুষের উন্নয়ন সেক্ষেত্রে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার হবে।