সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বীরভূম জেলা যে বোমা বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে তা বিরোধী দলের বক্তব্যের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে। সম্প্রতি সপ্তাহ খানেক জুড়ে প্রতিদিন জেলার প্রায় তিন থেকে চারটি থানা এলাকা থেকে বোমা বারুদ সহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অব্যাহত। এনিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য জেলার পাথর, বালি কয়লা খাদানের ন্যায় বারুদের ও যেন খাদান রয়েছে। জেলা যেন বোমা শিল্পে পুরস্কার পেতে চলেছে। থানা ভিত্তিক অহরহ বোমা বারুদ সহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ঘিরে শুরু হয়েছে প্রতিযোগীতা। হঠাৎ কি কারণে এত বোমা বারুদ সহ আগ্নেয়াস্ত্র রপ্তানি তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। সরকারি ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট বাজতে না বাজতেই সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক আসরে ইতিমধ্যে অবতীর্ণ। বিশেষ করে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল গরু পাচার মামলার অভিযোগে তিহার জেলে বন্দী। যার প্রেক্ষিতে বিরোধী শিবির আন্দোলনের অনেকটা অক্সিজেন পেয়ে গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা জুড়ে এত এত বোমা বারুদ উদ্ধার যা নিয়ে সাধারণ মানুষেরা আতঙ্কিত। আজ ফের নতুন করে মল্লারপুর, মাড়গ্রাম, পাইকর, রাজনগর থানা এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। জানা যায় মল্লারপুর থানার অন্তর্গত বড় তুড়িগ্রাম পঞ্চায়েতের যবুনী গ্রামে মল্লারপুর থানার ওসি এবং রামপুরহাট এসডিও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হারুন সেখ পিতা রঙ্গ সেখ এর বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে প্রায় ১৫-২০ টি তাজা বোমা পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে বালতি ভর্তি অবস্থায় দেখা যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। উল্লেখ্য বোমা উদ্ধারকৃত বাড়ির লোকজন দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রে রয়েছে বলে প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর। পাশাপাশি পাইকর থানার পুলিশ স্থানীয় একটি কালভার্টের নীচে প্লাস্টিক বালতি ভর্তি বোমা উদ্ধার করে।এদিকে মাড়গ্রাম থানার লতিপাড়ায় গ্রাম থেকেও আনুমানিক ১০০টি বোমা উদ্ধার করে মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনাটি আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসতেই মাড়গ্রাম থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে চারটি প্লাস্টিকের যার ও তিনটি ব্যাগের মধ্যে ভর্তি ছিল বোমা গুলি। অন্যপ্রান্তে রাজনগর থানার পুলিশ বীরভূম ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পশ্চিম প্রান্তে ফুলবাগান এলাকা থেকে ৬টি বোমা উদ্ধার করে বলে খবর। প্রতি থানা থেকে সিআইডি বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে বোমা গুলো নিষ্ক্রিয় করণের জন্য বলে পুলিশ সূত্রে খবর।