মেহের সেখঃ
সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর লেখনীর মধ্যে দিয়ে লাভপুরকে অন্ততঃ একশো বছর এগিয়ে দিয়ে গেছেন। লাভপুরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, উৎসব , অনুষ্ঠান সমস্ত কিছুকে তিনি তাঁর লেখনীর মধ্যে স্থান করে দিয়েছিলেন। তারাশঙ্করের লেখা একাধিক সাহিত্য ক্ষেত্রে লাভপুরের রথযাত্রা এবং রথযাত্রা উপলক্ষে লাভপুরের মানুষের উৎসাহ — উদ্দীপনার কথা রয়েছে। রথযাত্রার মতো এরকম একটি শুভ দিনে তারাশঙ্করের স্মৃতি বিজড়িত ধাত্রীদেবতায় ড. পরিমল চট্টোপাধ্যায় এবং নিবেদিতা চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘অংশুলা’ সাহিত্য পত্রিকার (একাদশ বর্ষ,ত্রয়োদশ সংখ্যা) ‘তারাশঙ্কর সংখ্যা’ প্রকাশিত হল লাভপুরের সাহিত্যকর্মীদের হাত দিয়ে। প্রথমেই সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। এরপর উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীতশিল্পী সুব্রত মুখোপাধ্যায় । সভায় সভাপতিত্ব করেন তারাশঙ্করের ভাতুষ্পুত্র বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়।সভায় সাহিত্যকর্মী সুনীল পাল ‘অংশুলা’ সাহিত্য পত্রিকার ‘তারাশঙ্কর সংখ্যা’র গুরুত্ব পর্যালোচনা করেন এবং এই সংখ্যায় বিভিন্ন প্রাবন্ধিকের লেখা বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।নাট্যকর্মী ড.উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় লাভপুরের বাইরে তারাশঙ্করের নাট্যচর্চা ও এই সময়ের কয়েকজন বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের অভিমত উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে কবিতা এবং ছড়া পাঠ করেন অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায় , সারদামণি মণ্ডল চট্টরাজ, জহরলাল দাস। তারাশঙ্করের গান পরিবেশন করেন শিল্পী অচিন্ত্য দাসবৈরাগ্য ও প্রণব কুমার চট্টোপাধ্যায় এবং তবলায় সঙ্গত দান করেন সমীর দাসবৈরাগ্য।অনুষ্ঠানে তারাশঙ্করের ভাতুস্পুত্র বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় তারাশঙ্করের স্মৃতিচারণ করেন। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যকর্মী হরিপ্রসাদ সরকার, প্রণব চট্টোপাধ্যায়, জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঘোষ, সোমনাথ সরকার,দয়াময় দাস,কাজী আশরাফুল ইসলাম, কাজল মুখোপাধ্যায়, ড.অভিষেক ঘোষ,প্রণব কুমার ঘোষ, কেদারনাথ আচার্য্য, সুধীররঞ্জন মুখোপাধ্যায়, সুদর্শন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কৌশিক রায়।