রবীন্দ্র নৃত্য ও রবীন্দ্র কবিতা প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা বীরভূমের তিতাস মুখার্জি

শম্ভুনাথ সেনঃ

শুধু বীরভূম কেন সারা রাজ্য তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিতাস মুখার্জি(১৩)। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের হিন্দুস্থান আর্ট এন্ড মিউজিক সোসাইটি আয়োজিত ভারত সংস্কৃতি যাত্রা নামক একটি আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় “রবীন্দ্র কবিতা” এবং “রবীন্দ্র নৃত্যে” প্রথম স্থান অধিকার করেছে বীরভূমের এই তিতাস। উল্লেখ্য, ৩৭ তম “গ্লোবাল কম্পিটিশন এন্ড ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ান আর্ট এন্ড কালচার” এর আসর বসেছিল দুবাইয়ে। গত ২৫-৩০ মে, ২০২৩ এই ছয় দিনের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় দুবাইয়ের ভারতীয় কনস্যুলেট অডিটোরিয়ামে। আমাদের দেশের ১৮ টি রাজ্য সহ বিশ্বের ২৮ টি দেশ থেকে এই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। সেখানে ২ টি বিভাগে আবৃত্তি ও রবীন্দ্র নৃত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বীরভূমের দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদেশ্বরী বিদ্যামন্দিরের সপ্তম শ্রেণীর এই ছাত্রী তিতাস মুখার্জি। ভরতনাট্যম ও সেমি ক্লাসিক্যাল নৃত্যে তিতাস দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। প্রসঙ্গত, তিতাস তিন বছর বয়স থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ভালোবাসে আবৃত্তি ও নৃত্য চর্চা। মা’য়ের কাছেই প্রথম পাঠ, — বাড়িতেই। মা রঞ্জিতা ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষিকা, বাবা তন্ময় মুখার্জি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী। তিতাস তাদের একমাত্র কন্যা। ইতমধ্যেই থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এইসব দেশে আয়োজিত রবীন্দ্র নৃত্য ও আবৃত্তিতে প্রথম হয়ে সাফল্য এনেছে আগেই। এবার দুবাই এ এই গ্লোবাল কম্পিটিশনে তিতাসের সাফল্যে গর্বিত বীরভূম। আসলে বীরভূম রবীন্দ্র পদধূলিতে ধন্য। সেই মাটি থেকেই তিতাস বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে। বাংলায় রবীন্দ্র কবিতা আবৃত্তি ও রবীন্দ্র নৃত্যে বিশ্বের দরবারে প্রথম হওয়া বীরভূমবাসীর কাছেও গর্ব। তিতাস সেই শিশুবেলা থেকেই দুবরাজপুর “সপ্তসুর কালচার সোসাইটি’র” নৃত্যগুরু সুরেশ দাসের কাছ থেকেই নৃত্যের তালিম নেয়। অন্যদিকে “নুপুরের ছন্দ” আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রে বাচিক শিল্পী নুপুর সিনহার কাছ থেকে পাঠ নেয় আবৃত্তির। ক্লাসের পড়াশুনাতেও সে প্রতিবছর প্রথম স্থানাধিকারী। দুবাই এ অনুষ্ঠিত এই চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার আগে রাজ্যস্তরে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।মাস কয়েক আগে এরাজ্যে বর্ধমান টাউন হলে প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে দুবাই যাওয়ার ছাড়পত্র পায় তিতাস। কিন্তু ফিরে এসেছে সেরার শিরোপা নিয়ে। তিতাস এখন ভারতের গর্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *