সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
সর্বকনিষ্ঠ এক বিপ্লবী ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তার ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছর ৮ মাস ৮ দিন। ১১ আগস্ট ১৯০৮ সালের আজকের দিনে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েন বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। আজ তার ১১৬ তম আত্মবলিদান দিবস। ফাঁসির আগে জর্জ সাহেব তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তার শেষ ইচ্ছা কি? দেশের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বোমা বানাতে জানেন। অনুমতি পেলে সেই বিদ্যা ভারতের অন্যান্য যুবকদের শিখিয়ে যেতে চান। সেই বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস কে সামনে রেখে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা স্থানে দিনটি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করেন। অনুরূপ এস ইউ সি আই কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও এবং যুব সংগঠন এআইডিওয়াইও র পক্ষ থেকে বীরভূম জেলার সিউড়ী, বোলপুর, মুরারই, রামপুরহাট, নলহাটি সহ বিভিন্ন স্থানে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পালনের খবর পাওয়া যায়। শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। কচিকাঁচাদের নিয়ে প্রভাতফেরি এবং ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান ও দেশের জন্য তার বিপ্লবী কর্মকান্ডের কথা আলোচনা সভায় তুলে ধরেন। এআইডিএসও র জেলা সম্পাদক অমিত মন্ডল ও এআইডিওয়াইও র জেলা সম্পাদক সেমিম আখতার ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস সম্পর্কিত জেলা জুড়ে আজকের কর্মসূচির কথা ব্যক্ত করেন।