শম্ভুনাথ সেনঃ
বৃন্দাবন ধামের শ্রীগোবিন্দ শাস্ত্রীজীর উদ্যোগে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষ্মীনারায়ণপুরে নির্মাণ হবে “শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির ও আনন্দ বৃন্দাবন বৃদ্ধাশ্রম”। সেই নির্মাণের পূর্বে ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর এলাকায় ভূমি পূজন ও দুই দিনব্যাপী ভাগবত পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। আজ ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে শ্রীধাম বৃন্দাবনের শ্রীগোবিন্দ বল্লভ শাস্ত্রী জী ভাগবত পাঠের সূচনা করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পূজার দিনেই অনুষ্ঠিত হবে ভূমি পূজন। এই উপলক্ষে আজ অগণিত ভক্তের সমাগম হয়। উল্লেখ্য, লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের এক ভক্ত দিলীপ গড়াই এই সংস্থাকে ২২ বিঘা জমি দান করেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত ১ কোটি টাকা। সেই দানকৃত জায়গায় শ্রীগোবিন্দ বল্লভ শাস্ত্রী জী এবং তাঁর ট্রাস্ট এখানে গড়ে তুলবেন মন্দির ও বৃদ্ধাশ্রম। একথা নিজেই আজ অনুষ্ঠানের সূচনায় তিনি ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, শ্রী ধাম বৃন্দাবন নিবাসী পরম পূজ্য প্রভুপাদ শ্রীগোবিন্দ বল্লভ শাস্ত্রী জীর দীর্ঘ দিনের মহৎ সংকল্প বাংলার পূণ্য ভূমিতে বৃদ্ধাশ্রম এবং বৃহৎ মন্দির নির্মাণ প্রকল্প। কয়েক মাস আগেই সেকথা বীরভূমের রাজনগরের এক ভাগবত পাঠ অনুষ্ঠানেই ঘোষণা করেন তিনি। সেই ঘোষণা শুনে এগিয়ে আসেন লক্ষ্মীনারায়ণপুর নিবাসী দিলীপ গড়াই তাঁর পরিবার। পরিকল্পনা অনুযায়ী বেশ কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দির ও বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ হলে আমুল বদলে যাবে এই প্রত্যন্ত এলাকা। গড়ে উঠবে তীর্থক্ষেত্র। আর সেই আশাতে বুক বেঁধেছে স্থানীয় প্রতাপপুর, বৈদ্যনাথপুর, লোকপুর, রামপুর, পণ্ডিতপুর, দুবরাজপুর এলাকার পুণ্যার্থী মানুষজন। উল্লেখ্য, দুবরাজপুর রেলস্টেশন থেকে যার দূরত্ব হবে ১০ কিলোমিটার, অন্যদিকে সতীপীঠ বক্রেশ্বর ধাম থেকে দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকার মানুষের উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।