সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
সিউড়ী ইণ্ডোর স্টেডিয়াম মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক অনুপ সাহা, বীরভূম সাংগঠনিক বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব বর্গ। এদিন সদ্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এরপর উপস্থিত বক্তারা প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, শ্রমনিধি মানধন যোজনা ইত্যাদি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের বিষয়ের সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলোকপাত করেন। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। অনুষ্ঠান শেষে সিউড়ি সংলগ্ন বিজেপির দখলে থাকা সিউড়ী ১ নম্বর ব্লকের করিধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েতে এসে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য সহ গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন। এক সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন যে, এখানে দলীয় নেতৃত্ব সহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে দলমত নির্বিশেষে সংসদে সকলের সাথে বসে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করা। সেই মোতাবেক সমস্ত স্তরের মানুষজন যেন সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করা। এটা জনগণের পঞ্চায়েত তা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখাতে হবে। সমিতি জেলা পরিষদ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে সেক্ষেত্রে বিজেপি দখলীকৃত কড়িধ্যা পঞ্চায়েতে টাকা পেতে অসুবিধা হবে কিনা? উত্তরে বলেন পঞ্চায়েত নিয়মানুযায়ী টাকা আটকাতে পারে না। হয়তো বিধায়ক, সাংসদ তহবিল না পেতে পারে, সেক্ষেত্রে বিজেপির বিধায়ক সাংসদের তহবিল থেকে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হবে এলাকার উন্নয়নের জন্য।