শম্ভুনাথ সেনঃ
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়ার খুশিতে রেল ময়দান থেকে শান্তিনিকেতন জুড়ে প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে বোলপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি-গান, জাতীয় পতাকা সহযোগে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় বোলপুরের নাগরিক সমাজ। হাজির ছিলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক কর্মী ও বহু ছাত্র-ছাত্রী। বাউল ও আদিবাসী শিল্পীদের নিয়ে ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা যায় উপাসনা গৃহ পর্যন্ত। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ছাড়াও ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ সহ অনেকেই৷ শোভাযাত্রা শেষে উপাসনা গৃহে সামনে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “আমরা গর্বিত শান্তিনিকেতন ইউনেসকোর কাছ থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। এই তকমার কৃতিত্ব একমাত্র গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। তবে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শান্তিনিকেতনের চারিপাশ সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বভারতীর পাশে থেকেছেন সব সময়।” মন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বোলপুরের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে। তবে আমরা সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেছি। উপাচার্যের প্রসঙ্গে কিছু বলব না, তবে বিশ্বভারতীর মান উন্নয়নের জন্য আলোচনার দরজা খোলা। চাইলেই যে কোন সময় “আলোচনা করতে পারেন।” উল্লেখ্য, আগামী ৮ নভেম্বর উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার যাওয়ার আগে এই বিভেদ তৈরি না করলেই ভালো করতেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। “