কাজল সেখকে সংবর্ধনা দেওয়ার পর শতাব্দীর দলীয় কর্মী মিটিং খয়রাসোলে

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আবহের মধ্যে বীরভূম জেলার নবনিযুক্ত সভাধিপতি কাজল শেখ কে সংবর্ধনা প্রদান দেওয়া হয় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর সাংসদ শতাব্দী রায়ের দলীয় কর্মী মিটিং অনুষ্ঠিত হয় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের খয়রাসোল কার্যালয়ে। উল্লেখ্য ব্লকের মধ্যে দুটি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেই ব্লক তৃণমূল সভাপতি অনুপস্থিত। যদিও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে কাজল শেখ বলেন ব্লক সভাপতি কে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি। এরই মধ্যে হঠাৎ বীরভূম জেলা সাংসদ তথা তৃণমূল জেলা কোর কমিটির সদস্য শতাব্দী রায়ের ব্লক তৃণমূল কার্যালয় দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিটিং এক্ষেত্রেও ব্লক তৃণমূল সভাপতি অনুপস্থিত। অথচ ২৮ সেপ্টেম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের মিটিং ডেকেছেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী। ব্লক তৃণমূল সভাপতির ডাকা মিটিং এ অন্যান্য ব্লক তৃণমূল কমিটির সদস্য তথা বিরোধী শিবিরের উপস্থিতি নিয়ে ছিল জল্পনা। এরমধ্যে হটাৎ শতাব্দীর মিটিং এর ফলে সমীকরণ কি হয়, তা নিয়ে জোর চর্চা এলাকায়। যদিও জেলা তৃণমূল কোর কমিটির কাছে ব্লক তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠি এখনো গ্রহণ করা হয়নি এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত ব্লক সভাপতি হিসেবেই কাজ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। এ নিয়ে খয়রাসোল ব্লক এলাকার দলীয় কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ ধন্দে। বুধবার বীরভূম জেলা সাংসদ শতাব্দী রায় ব্লক তৃণমূলের খয়রাসোল কার্যালয়ে উপস্থিত হন এবং দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিটিং করেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই শতাব্দী রায়ের প্রচার অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন দলীয় কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে একত্রে কাজ করার কথা বললেও এখানে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে সেটা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে। আর সেটা মূলত দুবরাজপুর মডেল দিয়ে সমাধান করা হবে বলে আভাস দেন। বিশেষ উল্লেখযোগ্য যে, সেখানে ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দুজনকে আহ্বায়ক করে ব্লক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে এবং সেটা গঠনের পর ফলাফল ভালো হয়েছে বলে স্বীকার করেন। আগামী দিনে দলের পথকে প্রশস্ত করবে বলে আশাবাদী। দূর্দিনের দলীয় কর্মীদের যোগ্য মর্যাদা দেওয়ার কথা বলেন। সেই সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন এবং বলেন আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনা ইত্যাদির টাকা আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। সেই মোতাবেক ব্লক স্তরেও উক্ত কর্মসূচি পালন করার বিষয়ে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন। সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য শতাব্দী রায়ের মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি দেবব্রত সাহা, খয়রাসোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীমা ধীবর, সহসভাপতি তারাপদ দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মৃনাল কান্তি ঘোষ, ব্লক নেতৃত্ব উজ্জ্বল হক কাদেরী, সেখ জয়নাল, কাঞ্চন কুমার দে, শ্যামল গায়েন প্রমুখ নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *