
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

অন্য কোনো দেশের শত্রুর আক্রমনে বা যুদ্ধে শহীদ নয় প্রকৃতির রোষানলে পড়ে জীবনহানি ঘটে বীরভূম জেলার ভূমিপুত্র এক সেনা জওয়ানের।ঘটনাটি ঘটেছে সিকিমে, সেখানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখে পড়ে শহীদ হতে হয় ২৮ বছরের তরতাজা যুবক গোপাল মার্ডিকে। জানা যায় যে, গোপাল মাড্ডি জলপাইগুড়ির বিন্নাগুরিতে পোস্টিং এ ছিলেন। কয়েক মাস আগে সিকিমের হরভজন সিং মন্দিরে ডিউটি করতে গেছিলেন। সেখান থেকে ডিউটি সেরে পুনরায় বিন্নাগুরি সেনা ছাউনিতে ফেরার পথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়েন। ৪ অক্টোবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গোপালের নিখোঁজের খবর জানানো হয় তার পরিবারকে। ৫ অক্টোবর তার মৃত্যুর খবর আসে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর বাড়িতে। কর্মরত অবস্থায় বীরভূমের সেনা জাওয়ান গোপালের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে আদিবাসী অধ্যুষিত পরিবার সহ এলাকাজুড়ে। নিহত সেনা জাওয়ান গোপালের কফিন বন্দি দেহ ফিরলো তার নিজের বাড়িতে। সেনা জোয়ানদের স্যালুট গান সহ বিভিন্ন ভাবে সহকর্মীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি জেলার ভূমিপুত্র নিহত সেনা জোয়ানের পরিবারবর্গ কে সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে পৌঁছে যান বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর নির্দেশ মোতাবেক মৃত্যের ক্রিয়া কর্মের জন্য নিহতের স্ত্রীর হাতে দুই লাখ এবং তার বাবা-মায়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তর আশাকরি বিষয়টি দেখবেন। নাহলে রাজ্য সরকার সবসময় নিহত সৈনিকের পরিবারের পাশে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর ৭৪ টি মানবিক প্রকল্পের আওতায় আনা সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ও চিন্তাভাবনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী বলে অভয় দেন কাজল সেখ। উল্লেখ্য বীরভূমের ময়ূরেশ্বর দু’নম্বর ব্লকের নান্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা, গোপাল মাড্ডি। ২০১৪ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেনাবাহিনীর মেডিকেল বিভাগে কর্মরত ছিলেন ময়ূরেশ্বর এর গোপাল।
