শম্ভুনাথ সেনঃ
হেরিটেজ ফলক বিতর্কে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নোটিস পাঠিয়েছিল পুলিশ। ১৪ নভেম্বর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে শান্তিনিকেতন থানায় হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেদিন তিনি হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর শান্তিনিকেতনের “পূর্বিতা” বাড়িতে আজ ২০ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৌঁছায় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। ফলক কান্ড সহ আরো ৫ টি মামলার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলে জানা গেছে। শান্তিনিকেতন থানার ওসি-সহ ৪ জনের একটি দল বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সরকারি বাসভবনে যান। জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রশ্নোত্তর পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব লিখিত আকারেও নেওয়া হয়েছে, পরে তাতে সই করবেন তিনি। উল্লেখ্য, ফলক ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী, পড়ুয়া, গবেষক থেকে বিতশ্রদ্ধ হয়েছিল এলাকার সাধারণ মানুষজন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকাকালীন বারবার নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এরই মাঝে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছে। অবশ্য তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। কলা ভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয়কুমার মল্লিককে বিশ্বভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সম্মান পাওয়ার পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একাধিক জায়গায় ফলক বসানো হয়েছিল। সেই ফলক ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়। ওই ফলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্যের নামও ছিল। কিন্তু কোথাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ছিল না। তার জেরেই ক্ষোভ দেখা যায় বিভিন্ন স্তরে। ফলক বদল করা হবে না বলেও কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এখন এই মামলার রায় কোন পথে এগোয়, সেটাই দেখার জন্য আরো কিছু দিনের অপেক্ষা!