সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
মোবাইল ছাড়ুন, খেলার মাঠে আসুন। খেলায় বা শরীর চর্চায় শরীর গঠন হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, মন মানসিকতা স্থির থাকে, একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব্বপূরণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বর্তমান মোবাইলের পরিস্থিতিতে গ্রামে গঞ্জে খেলাধুলা বিলুপ্তির পথে। যুব সম্প্রদায় এখন মোবাইল নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত। যুব সমাজকে মাঠমুখী করানোই খেলার মূল উদ্যেশ্য বলে আয়োজকদের তরফে জানানো হয়। বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানার বড়রা আমরা সবাই এর পরিচালনায় ৮ টি দলকে নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল দুর্গাপূজার সময়। ৩ ডিসেম্বর, রবিবার ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা, দর্শকভরা মাঠে বিশিষ্টজনদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। চুড়ান্ত পর্যায়ের খেলায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিরকুলটি আয়ূস একাদশ বীরভূমের বাস্তবপুর হেমরম ব্রাদার্সকে ১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী ঘোষিত হয়। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী দলকে ৭১ হাজার টাকা ও ট্রফি এবং বিজিত দলকে ৫১ হাজার টাকাও ট্রফি প্রদান করা হয়। এছাড়াও ম্যান অফ দি সিরিজ, ম্যান অফ দি ম্যাচ, বেষ্ট প্লেয়ার, বেষ্ট গোলকিপারকে পুরস্কৃত করা হয়। আয়োজকদের পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দের কাছে দর্শকদের সুবিধার্থে গ্যালারি করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। খেলার আসরে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাজি, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য অরুন চক্রবর্তী, মুনমুন ঘোষ ও কামেলা বিবি। দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপিতা পীযূষ পান্ডে, কাঁকড়তলা থানার ও সি শামিম খান, সমাজসেবী সেরাফত খান, সেখ জয়নাল, কাঞ্চন দে, শিক্ষক উজ্জ্বল হক কাদেরী, কেনিজ রাশেদ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ফুটবল প্রতিযোগিতার সম্পর্কে আয়োজকদের পক্ষে বিস্তারিত বিবরণ দেন সেখ মিরাজ।