সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ও বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ শনিবার জেলার সাংসদ, বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, টাউন সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি সহ শাখা সংগঠনের সকল নেতৃত্বকে নিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। সেই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলো কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে, রণনীতি ঠিক করতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি। সেইরূপ আজ জেলা সদর সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজনৈতিক সম্মেলন কর্মসূচি পালন করা হয় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে- কয়েক মাস পরেই বিরাট পরীক্ষা আসছে। যে পরীক্ষাগুলো বিগত দিনে দিয়েছি। সেই পরীক্ষায় আমরা কিন্তু পরপর প্রমাণ করেছি যে, এই বীরভূম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, এই বীরভূম অভিষেক ব্যানার্জীর, এই বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের। লড়াই আমরা করতে জানি, লড়াই আমরা করেছি বিগত দিনে ৩৪ বছর বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই। অতএব আমরা জানি কিভাবে লড়াই করতে হয়। দিল্লিতে বসে শুধু ফতোয়া জারি করে বাংলার মানুষকে দমিয়ে রাখা যায় না। বৃটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার রক্ত। সেই রক্ত বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেসদের ভয় পায় না। অনুব্রত মন্ডলের নেতৃত্বে লড়াই করেছি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের লড়াই, আবাস যোজনার লড়াই চলছে। পরিযায়ী পাখির মত বছরে একবার এসে লাভ হবে না। বছরে ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে যারা থাকে তারাই আসল দিদির সৈনিক, মমতা ব্যানার্জির সৈনিক। ভোটের সময় এসে বিজেপি শুধু অনেক বড় বড় কথা বলে যান। বাংলার বুকে শুধু মমতা ব্যানার্জি ছাড়া জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এক ছাতার তলায় কেউ রাখতে পারেনি। তাই বাংলার বুকে জোড়া ফুল ফুটবে, অন্য ফুল ফুটবে না, অন্য কোন দলের অস্তিত্ব থাকবে না। বামফ্রন্টকে বীরভূম জেলা থেকে গুজরাটে পাঠিয়েছি। তারা বিজেপির ছত্রছায়ায় এসেছে আবার তারা দল করতে নেমেছে। পরিযায়ী পাখির মতো এসেছে। আমরা যেখানে ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকি। তৃণমূল একটা বড় পরিবার তাই নিজেদের মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে সেগুলো মিটিয়ে নেওয়ার উপরেই মূলত জোর দেওয়া হয়েছে। জেলার দুটি লোকসভা আসনেই তৃণমূল নেতৃত্ব যাদের প্রার্থী করবে তারাই দু লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতবে। বাংলায় লোকসভার ৪২ টি আসনের মধ্যে ৪২ টি তেই তৃণমূল জিতবে বলে দাবি করেন। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়, জেলা সভাধিপতি ফয়জুল হক ওরফে কাজল সেখ, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ড আশীষ ব্যানার্জী, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির অন্যান্য সদস্য।