কড়িধ্যা বিদ্যানিকেতন স্কুলে সিসিটিভি চুরি: অতি সত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী

সনাতন সৌঃ

গত ১০ ডিসেম্বর রাতে সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা চুরি হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিউড়ী থানায় ডায়েরী করা হয়েছে। কে বা কারা চুরি করেছে তার হদিস এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, বীরভূমের সদর শহর সিউড়ীর অদূরে কড়িধ্যা বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়টি সিউড়ি-বক্রেশ্বর মেন রাস্তার উপরেই অবস্থিত। বিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান যে, দীর্ঘদিন ধরে এই বিদ্যালয়টি বঞ্চনার শিকার। সরকারী পরিষেবা থেকে বঞ্চিত এখানকার শিক্ষার্থীরা। নানা অসামাজিক কার্যক্রম বিদ্যালয় চত্বরে চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। স্কুলটিকে সুরক্ষিত করবার জন্য বর্তমানে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে বিদ্যালয়ের নিজস্ব খরচায়। সীমানা প্রাচীর ছোট। বিদ্যালয় গেটে তালা দেওয়া হলেও সহজেই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করা যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ঠাকুরের সময়ে ১৫টি কম্পিউটার চুরি হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন থেকে। থানায় ডায়েরী করা সত্ত্বেও সেবারে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে নতুন কিছু কম্পিউটারের সংস্থান করা সম্ভব হয়েছে ICT Sector থেকে এবং সেই গুলোকে সুরক্ষিত করবার জন্য বিদ্যালয়ে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুলে নতুন মিড ডে মিলের শেড তৈরী হয়েছে, যার উদ্বোধন এখনো হয়নি। সেগুলোকে সুরক্ষিত করার জন্য S.P-র কাছে দরখাস্ত জমা করা করেন বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষারত্ন পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সুজাতা সাহা দাস। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ে সিভিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাহলে কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো? শুধু তাই নয়, মেন রাস্তার ওপর অবস্থিত এই বিদ্যালয়টির উল্টো দিকে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারের আবেদন জানান বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ২৪/১১/২০২৩ তারিখে। এ ব্যাপারেও কোনো পদক্ষেপ প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া হয়নি। গ্রামের দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের পীঠস্থান এটি। পশ্চিম বাংলার প্রায় সব স্কুল যখন সরকারী অনুদানে সেজে উঠেছে, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর তৈরী হচ্ছে আর ভাঙছে, নানা রকম সরকারী পরিষেবা পাচ্ছে তখন এই বিদ্যালয়টি উপযুক্ত জায়গায় আবেদন জানিয়েও কেন সব দিক থেকে অবহেলার শিকার? কেন প্রশাসনের সহযোগিতা থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত? উপযুক্ত সীমানা প্রাচীর থাকলে এবং সিভিক পুলিশ মোতায়েন থাকলে হয়তো এই ধরণের চুরির ঘটনা ঘটতো না। অবিলম্বে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সুনজরে আসুক বিদ্যালয়টি দাবী এলাকাবাসী তথা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা সকলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *