মেহের সেখঃ
১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত দেশের পথিক সাহিত্য পত্রিকার বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সিউড়ির বিবেকানন্দ গ্রন্থাগারের শ্রীরামকৃষ্ণ সভাগৃহে। ৩৫ টি প্রদীপ প্রজ্জলন করে বৈদিক মন্ত্রের উচ্চারণের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে দ্বৈত কন্ঠে কাবেরী মুখোপাধ্যায় ও ঈশান ভট্টাচার্য উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য যে ১৪ কে পুরস্কৃত করা হয় তার মধ্যে ১২ জনকে সুনীল আসা স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আবৃত্তিকার তিতাস সেনগুপ্ত পান কবি জীবনানন্দ পুরস্কার আর আসাম খ্যাত প্রখ্যাত কবি গল্পকার এবং ঔপন্যাসিক রুমি লস্করকে প্রদান করা হয় বীরভূমের বিখ্যাত সাহিত্যিক তারাশঙ্কর স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার। পুরস্কারটি প্রদান করেন তারাশঙ্কর গবেষক মনোরঞ্জন গুড়িয়া। উক্ত সভায় ১৬ জন বিশিষ্ট মানুষ দেশের পথিক সাহিত্য পত্রিকার আজীবন সদস্য পদ গ্রহণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে দেশের পথিক সাহিত্য পত্রিকা, শারদীয়া, দীপাবলী, শীত ও বসন্ত পঞ্চমী মেলা সংখ্যার আত্মপ্রকাশ ও দেশের পথিক মাসিক সাহিত্য পত্রিকাটি ৩৫ টি দীপশিখা প্রজ্জ্বলনের উজ্জ্বল রশ্মিতে পত্রিকার উন্মোচন ঘটে। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মলয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম সাহিত্য পরিষদের সভাপতি শান্তিকুমার মুখোপাধ্যায়, দেশের পথিক সাহিত্য পত্রিকার সভাপতি পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য প্রমুখ। বালুরঘাট, জলপাইগুড়ি, কলিকাতা, আসাম, বীরভূম ও বর্ধমান থেকে এসে অনেক কবি উক্ত অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করে যান। সঙ্গীতে মাতিয়ে দেন শচীদান্দ ঘোষ ও বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী অলকা গাঙ্গুলী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারু রূপে সঞ্চালনা করেন সুশান্ত রাহা। অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি সঙ্গীত পরিবেশন করেন কাবেরী মুখোপাধ্যায় এবং অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষনা করেন সাহিত্য কর্মী কৃষ্ণ প্রিয়া ঠাকুর।