সাড়া ফেলেছে সংস্কার ভারতীর ‘নমামি ভারতবর্ষম্’

দীপক কুমার দাসঃ

দেশের স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পর্বে নতুন ভারত, সমৃদ্ধশালী ভারত গড়ার আহ্বান জানিয়ে সংস্কার ভারতী দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের পূর্ণাঙ্গ প্রযোজনা-নমামি ভারতবর্ষম্ সাড়া ফেলেছে। মাতৃভূমি ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন সংস্কৃতি তথা বেদ-বেদান্ত, রামায়ণ-মহাভারত মহাকাব্যের ঐতিহ্যকে স্মরণ ক’রে ভারতমাতার পরম বৈভবশালী অতীত বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী শত্রুর আক্রমণ ও পরাধীনতার গ্লানি ও যন্ত্রণার কথাও বর্ণিত হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশমাতৃকার লক্ষ লক্ষ বীর সন্তানদের আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার বীরগাথাও উল্লিখিত হয়েছে। নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধানে সজ্জিত ভারতমায়ের সংস্কৃতি ও রীতিনীতির এক সম্মিলিত রূপ এবং এদেশের সনাতন ধর্ম ও সংস্কৃতির মূলমন্ত্র হ’ল কোটি কোটি সন্তানের ঐক্যসূত্র, যা অবলম্বন ক’রে আগামীদিনে নতুন ভারত, সমৃদ্ধশালী ভারত গড়ার কর্মযজ্ঞে তরুণ প্রজন্মকে ব্রতী হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে ‘নমামি ভারতবর্ষম’ নৃত্যগীতি আলেখ্যের মাধ্যমে। দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের পাঁচটি জেলার ৫৫ জন নৃত্যশিল্পীর অংশগ্রহণে একটি সফল উপস্থাপনা সংস্কার ভারতীর। নৃত্যনাট্যের ভাষ্য, সঙ্গীত রচনা, সুর সংযোজনে সংস্কার ভারতী শিল্পীরা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বাংলা গীত, ভাষ্য রচনা ও আবহ চিত্র প্রক্ষেপণে অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। সুরকার ও সঙ্গীত সংযোজন ক’রে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন শিল্পী ধ্রুবজিৎ ভট্টাচার্য। যন্ত্রানুষঙ্গে অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়। আলেখ্যতে মোট সাতটি গান ব্যবহার করা হয়েছে। একটি বাংলা এবং ছয়টি হিন্দি। শৃঞ্জন সংস্থা, নৃত্য রিদম্ ও গৌড়ীয় চারুকলা ভারতী এই তিনটি সংস্হার শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। সঙ্গীত পরিবেশন করেন সংস্কার ভারতীর সঙ্গীত শিল্পীরা। ভাষ্য পাঠে ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, লিপিকা চৌধুরী ও বৈশালী ভট্টাচার্য। সংস্কার ভারতী দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের সাধারণ সম্পাদক ভরত কুণ্ডু বলেন, স্বাধীনতার ৭৫- অমৃত মহোৎসব উপলক্ষ্যে আমরা বছর ব্যাপী সাংস্কৃতিক নানা বিষয়ের উপর কাজ করছি। সংস্কার ভারতীর নৃত্য ও সঙ্গীত বিধার এই উপস্থাপনা দর্শকদের মনকে স্পর্শ করেছে, এটা আমাদের একটা পরম প্রাপ্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *