শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ ২৩ মার্চ থেকে শুরু হল বীরভূমের দ্বিতীয় বৃহত্তম “পাথরচাপুড়ী মেলা-২০২৪”। আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা চলবে ২৯ মার্চ পর্যন্ত। লোকসভা নির্বাচনের জন্য দেশ জুড়ে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়েছে তাই এবার নেতা, মন্ত্রী, আধিকারিকদেরও উপস্থিতি কম। তবে এবারও সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ৭ দিনের সম্প্রীতির এই মিলনমেলায় ইতমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ। আলোকমালায় সেজে উঠেছে দাতাবাবার মাজার শরীফ। বীরভূমের সিউড়ি-রাজনগর রাস্তার উপর “পাথরচাপুড়ি গ্রাম”। আর এখানে রয়েছে “দাতা মেহবুব শাহ ওয়ালীর মাজার”। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি “দাতাবাবা” নামে পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন সুফি সাধক। আজ থেকে ১৩২ বছর পূর্বে ১২৯৮ বঙ্গাব্দের এমন এক ৯ চৈত্র এই সুফি সাধক দেহত্যাগ করেন। ওই দিনটিকে স্মরণীয় করতে তাঁর তিরোধান দিবস উপলক্ষে পাথরচাপুড়ীতে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় “দাতাবাবার উরস মেলা”। আজ ২৩ মার্চ দুপুরে পাথরচাপুড়ী মসজিদের ইমাম জনাব শওকত আলীর সভাপতিত্বে মোয়াজ্জেম কামালউদ্দিন সাহেবের কোরান পাঠ এবং বীরভূমের প্রিয়াঙ্কা সরকার খানের কন্ঠে লালন ফকিরের গানের মধ্য দিয়ে মেলার উদ্বোধন হয়। প্রধান অতিথি রুপে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা সভাধিপতি ফায়জুল হক। এছাড়া নানুর বিধানসভার বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি, স্থানীয় প্রধান সহ বহু ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে মঞ্চ আলোকিত হয়। মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চের বিভিন্ন অতিথিরা দাতাবাবার মাজারে চাদর চড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী বরুন দাস। উল্লেখ্য, এবার রোজার মাসেই শুরু হয়েছে পাথরচাপুরি মেলা। অন্যবারের তুলনায় উপস্থিতির সংখ্যা কিছুটা কম। তবে এদিন নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় নামাজ। মেলার প্রথম দিনেই ছুটে এসেছেন দেশ-বিদেশের বহু পুণ্যার্থীরা। কেউবা তাঁবু খাটিয়ে কাটাবেন রাত। সরকারিভাবে জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার বিশাল এলাকা জুড়ে নানান পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। শুরু হয়েছে বিকি কিনি। মেলা চলবে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত।