সোলার লাইট বসানো কে কেন্দ্র করে ফের একবার বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট বেজে গেছে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো সব নিজ নিজ দলীয় কোন্দল মিটিয়ে একত্রে চলা এবং সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার সংকল্প নিয়ে কাঠফাটা রৌদ্র উপেক্ষা করে প্রচার অভিযানে ব্যাস্ত ঠিক তখনই কাটমানির অভিযোগে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। ঘটনার ক্রম থানা পর্যন্ত পৌছায় এবং চার জন দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত পুলিশ একজন বিজেপির কর্মীকে আটক করেছে। ঘটনাটি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বিজেপি পরিচালিত কাষ্ঠগড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিবরণ অনুযায়ী জানা যায় যে, ঘটনার মূল সূত্রপাত নব্য বিজেপি বনাম পুরাতন বিজেপির সঙ্গে। রবিবার স্থানীয় পঞ্চায়েত এলাকার গূগ গ্রামে সোলার লাইট বসানো কে কেন্দ্র করে উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি। কাষ্টগড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পিঙ্কি মন্ডল অসুস্থ থাকায় তার স্বামী সোলার লাইট বসানোর জন্য ঠিকাদার তথা মিস্ত্রিদের জায়গা দেখাতে গিয়ে অশান্তির সৃষ্টি বলে খবর। কোন কোন জায়গায় লাইট গুলো বসানো হবে সেই কাজটি তদারকি করার জন্যই প্রধানের স্বামীকে হেনস্তা এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। এটা মূলত বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বলে দাবি করেন প্রধান ও তার স্বামী। এদিন হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হচ্ছে নয়টি পঞ্চায়েতের বিজেপি কনভেনার জয়দেব পালের নেতৃত্বে হচ্ছে বলে প্রধানের স্বামীর বক্তব্য। উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও বিজেপির মন্ডল সহসভাপতি প্রবোধকুমার সাহার নেতৃত্বে টেন্ডার ডাকা কে কেন্দ্র করে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত প্রধান পিঙ্কি মন্ডল কে কাষ্টগড়া পঞ্চায়েতের মধ্যে হেনস্থা করা হয়েছিল। প্রধানের স্বামীর আরও দাবি করেন যে, সিপিএমের থেকে যারা বিজেপিতে যোগদান করেছে তারাই এদিন আমাকে মারধর করেছে। এই বিষয়ে আমি রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। ওরা বিজেপিতে যোগদান করেছে ঠিকই, কিন্তু ওরা আজও মনেপ্রাণে সিপিএম ভক্ত। ইতিমধ্যে রামপুরহাট থানার পুলিশ হামলার অভিযোগে চার অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে এবং বাকি তিনজন পলাতক বলে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *