তৃণমূল সব শ্রেণির মানুষের উন্নয়ন করেছে : সাঁইথিয়ার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী

বিজয়কুমার দাসঃ

৬ মে সোমবার দুপুরে সাঁইথিয়া খেলার মাঠের কাছে মেলার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার পৌঁছয় মেলার মাঠে। সেখান থেকে পুলিশি নিরাপত্তায় তিনি পায়ে হেঁটে সভামঞ্চে এসে ওঠেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, ডেপুটি স্পীকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক নীলাবতী সাহা, পুরপিতা বিপ্লব দত্ত সহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে আসার আগে বীরভূম কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দিতে চায়। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।আমৃত্যু মায়েরা এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন। তাই আসন্ন নির্বাচনে বীরভূম কেন্দ্রে ৪ নম্বর বোতাম টিপে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বীরভূমে উন্নয়নের ছবি তুলে ধরে তিনি বলেন, পঞ্চ সতীপীঠ সহ পাথড়চাপড়ি, তারাপীঠ সর্বত্র তৃণমূল সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। ডেওচা পাঁচামীতে কয়লাশিল্পকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে উন্নয়নের পতাকা উড়বে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, মোদি সরকার সব উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিতে চায়। সন্দেশখালির মা বোনেদের নিয়ে নির্লজ্জ রাজনীতি করছে তারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি মধুবাবু ও নিধুবাবু নামে কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি সব লুট করে নিয়ে যাবে। সব উন্নয়ন স্তব্ধ করে দেবে। ওদের প্রতিশ্রুতিতে ভুলবেন না। ওদের সব প্রতিশ্রুতিই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি। বাংলার শিক্ষা শিল্প সংস্কৃতিকে ধ্বংস করাই বিজেপির উদ্দেশ্য। তবে সাঁইথিয়ায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে একবারের জন্যও বিরোধী দলনেতার প্রসঙ্গে একটি কথাও বলেননি। তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন বক্তব্যের শেষে মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী শিল্পীদের সঙ্গে একটি নাচের তালে তালে পা মেলান। সভায় মহিলাদের ভিড় ছিল উল্লেখযোগ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *