শম্ভুনাথ সেনঃ
উন্নত প্রযুক্তির ফলে মানুষ বিজ্ঞানের চরম শিখায় পৌঁছেছে। কিন্তু আজও কারখানায় তৈরি করা যায়নি মানুষের রক্ত। তাই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত কিংবা মুমূর্ষ রোগী বা প্রসূতি মায়েদের জীবন বাঁচে আরেকটি মানুষের রক্তদানে। সচেতনতার ফলে অবশ্য মানুষ দিন দিন রক্তদানে এগিয়ে আসছে। বিশেষ করে এই গ্রীষ্মকালে হাসপাতালগুলিতে রক্তের সংকট দেখা দেয়। বীরভূমের দুবরাজপুরে আজ ১৯ মে এক চা বিক্রেতার ভাবনা ও উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক রক্তদান শিবির। দুবরাজপুর পুরশহরের রঞ্জনবাজারে রয়েছে বিপুল ওঝার চায়ের দোকান। চায়ের আড্ডা থেকে রক্তদান শিবির করার উদ্যোগ ও ভাবনায় আজ তিনি নিজেও রক্তদান করেন। উল্লেখ্য, বিগত তিন বছর ধরে বীরভূম ভলান্টারী ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকট মোচনে এই চা বিক্রেতা বিপুল ওঝা রক্তদানের মত কর্মযজ্ঞে পাশে দাঁড়িয়েছেন। চা খেতে আসা বহু ক্রেতাকে তিনি রক্তদান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। চা দোকানীর এই রক্তদান শিবিরের উদ্যোগকে দুবরাজপুর “সমব্যথী” সংস্থা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তীব্র গরমে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের সম্পুর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাসে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিনের এই ধারাবাহিক ভ্রাম্যমাণ রক্তদান শিবিরে স্থানীয় ২০ জন যুবক-যুবতী রক্তদান করেন। রক্ত সংগ্রহ করে বোলপুর মহকুমা হসপিটালের ব্লাড সেন্টার। এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ হিমাদ্রিকুমার আড়ি, রক্তদান সংস্থার সহ সভাপতি প্রিয়নীল পাল, সম্পাদক নুরুল হক, ব্রজ মণ্ডল, সায়ন দাঁ প্রমুখ।