হজরত আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) এঁর মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে ঈদ উল আযহা’র নামাজ আদায়

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

১৭ জুন দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় বীরভূমের পাড়ুই থানার খুষ্টিগিরীতে বিরাজমান হজরত আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) এঁর মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে অজস্র মানুষের সমাগমে পবিত্র ‘ঈদ উল আযহা’র নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফের মোতাওয়াল্লী ও সাজ্জাদানেশীন পীর হজরত সৈয়দ শাহ হাফিজুর রহমান কেরমানী ঈদ উল আযহার তাৎপর্য সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ঈদ-উল-আযহা উৎসব হচ্ছে মূলত―ত্যাগ, সংযম ও আত্মদানের উৎসব। ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহতালার আদেশ পালন তথা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজের প্রিয় পুত্র ইসমাইল(আঃ) কে কোরবানী করতে উদ্যত হয়েছিলেন। তাঁর আচরণে প্রমাণিত হয়েছিল পুত্রের ভালোবাসা থেকেও আল্লাহতালার প্রতি ভালোবাসা বড়। তাঁরই মহান ত্যাগের স্মৃতিতে মুসলিম জাতি প্রতি বছর ১০ই জিলহজ্জ্ব ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করেন ও নিজ নিজ গৃহে পশু কোরবানী করেন। কোরবানীর পশুর গলায় ছুরি দেওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে গুপ্ত পশুত্বের গলায় ছুরি দিতে হবে। সেই সাথে বিসর্জন দিতে হবে কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-পরনিন্দা-পরশ্রীকাতরতা। মানবতাবোধ-শৃঙ্খলাবোধ ও সম্প্রীতি রক্ষায় হতে হবে সচেষ্ট। তবেই সার্থক হবে উৎসর্গের উৎসব―কোরবানী। বিশ্বময় বিরাজ করবে মহান আল্লাহপাকের মেহেরবানী।
ঈদ-উল-আযহার নামাজ শেষে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত ও দূর দুরান্তের পুণ্যার্থীরা হজরতকে সালাম ও মোসাফা করেন। হজরত সাঈয়েদেনা শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) ও তাঁর বংশধরগনের মাজার শরীফ জিয়ারত করেন বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ভক্তেরা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আজকের ঈদ উৎসব পালিত হওয়ায় দরগাহ শরীফের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা ও দোওয়া জ্ঞাপন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *