শম্ভুনাথ সেনঃ
আজ ৩২ শে শ্রাবণ মাসের শেষ দিন, শ্রাবণ সংক্রান্তি। এই দিনে মনসা পূজা বীরভূম জেলার অন্যতম বড় লোক পার্বণ। এই পুজোর সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো উৎসর্গ করা। লোকায়ত ধর্মীয় উৎসব ও গ্রামীণ সংহতি রক্ষায় প্রতিবছর এই শ্রাবণ সংক্রান্তিতে বীরভূমের গ্রাম-গঞ্জে অনুষ্ঠিত “মনসা পূজা” উপলক্ষে মনসা মন্দিরগুলিতে নামে ভক্তের ঢল। গ্রামের মানুষ মিলিত হয় এই লৌকিক দেবীর আরাধনায়। সর্পদংশনের ভয় থেকে পরিত্রাণের জন্য, আজও সেই অটুট বিশ্বাসে মা মনসা “বিষহরি” রূপে পূজিতা হন। নাগকূলকে তুষ্ট রাখতেই সেই প্রাচীনকাল থেকে মনসা পুজোর প্রচলন। পদ্মপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্তপুরণেও এই দেবীর উল্লেখ রয়েছে। বীরভূমের গ্রাম-গঞ্জে কোথাও বা পাষাণ মূর্তি আবার অনেক গ্রামে মনসার প্রতিমা নির্মাণ ক’রে পূজো-অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়।বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর, রাজনগরের- রাওতড়া, তাঁতীপাড়া, সাঁইথিয়ার-পাহাড়পুর, লাভপুর ব্লকের ভ্রমরকোল, দুবরাজপুরের ডাঙ্গালতলা, লালবাজার, রঞ্জনবাজার এই ব্লকেরই পণ্ডিতপুর, দৌলতপুর এমন বিভিন্ন গ্রামে-গ্রামে মনসা পূজো আজও বহুল প্রচলিত একটি ধর্মীয় লোক উৎসব। জেলার অধিকাংশ গ্রামে রয়েছে মনসা মন্দির। মা মনসাকে নিয়ে সারা গ্রাম পরিক্রমা করা হয়। কোথাও বা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সারারাত ধরে মনসামঙ্গল পালাগান।