শম্ভুনাথ সেনঃ
কলকাতার আর.জি. কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় যখন রাজ্যজুড়ে উত্তাল অবস্থা,তেমন সময়ে বীরভূমের বোলপুর থানার বাহিরী পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করিমপুর গ্রামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমন ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ ২১ আগষ্ট বোলপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত ফিরোজ খান কে। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল এই অভিযুক্ত যুবক ফিরোজ খান। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ আগষ্ট দিন দুপুরে। সেই বিষয়ে আজ ২১ আগষ্ট বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। তার অভিযোগের বয়ানে জানা গিয়েছে করিমপুর গ্রামের তৃণমূল সমর্থক ফিরোজ খান দীর্ঘদিন ধরে ওই গৃহবধূকে বিরক্ত করতো। তাকে কুপ্রস্তাবও দিত। কিন্তু সেই প্রস্তাবে এই গৃহবধূ সাড়া না দেওয়ায় তাকে এদিন গ্রামেরই একটি পরিত্যক্ত গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র তার যৌনাঙ্গে প্রবেশ করিয়ে রাখে। পাশাপাশি ওই গৃহবধুর হাত পা বেঁধে নগ্ন অবস্থায় বেশ কিছু ছবি মোবাইলে তুলে নেয়। সেই সময় নির্যাতিতা গৃহবধুর চার বছরের পুত্র সন্তান ঘটনাস্থলে এসে চিৎকার করতে শুরু করলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। লোক লজ্জার ভয়ে গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ করতে পারেননি ওই গৃহবধূ। এদিন তিনি হাসপাতাল থেকে এসে তার স্বামীর সঙ্গে বোলপুর থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বোলপুর থানার আইসির নেতৃত্বে এদিনই করিমপুর গ্রামে অভিযুক্ত ফিরোজ খানের খোঁজে যায় পুলিশ। পুলিশ গ্রামে আসার খবর পেতেই অভিযুক্ত ফিরোজ খান গা ঢাকা দেয়। সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে করিমপুরের পাশেই হরিপুর গ্রামের কোনো এক জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছে ফিরোজ। এরপরই বোলপুর থানার পুলিশ হরিপুরে হানা দিয়ে ধরে ফেলে অভিযুক্ত ফিরোজ খানকে।