সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বিজ্ঞানের যুগে মানুষের অগ্রগতি ঘটলেও কিছু কিছু সামাজিকতার ক্ষেত্রে এখনো কুসংস্কারের মধ্যে আবদ্ধ। যার সন্দেহের বশীভূত হয়ে অকালে ঝরে যাচ্ছে বহু প্রান। শুধু একটু সচেতনতার অভাবে এখনো পর্যন্ত কুসংস্কারের ধারা অব্যাহত।তাইতো ডাইনি সন্দেহে দুই আদিবাসী মহিলাকে মেরে ফেলে দিল কাদরের জলে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বর থানার হরিষরা আদিবাসী পাড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেখানে সরজমিনে তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে ৬ জনকে আটক করেছে। মৃতদের মধ্যে লোদগি কিসকু বয়স আনুমানিক ৬০ বছর।অপরজন ডলি সরেন বয়স আনুমানিক ৩২বছর। নিহত দুজনেই হরিশড়া আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা। গ্রামবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায় যে, ডাঙ্গাল নামে এক ব্যক্তি প্রথমে দুজনকেই বাড়ি থেকে ডেকে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসে। তারপর দড়ি দিয়ে বেঁধে বিবস্ত্র করে লাঠি দিয়ে প্রহার করতে থাকে। মারের চোটে দুজনের মৃত্যু হয়। এরপর সেখান থেকে মৃত অবস্থায় দুজনকে নিয়েই কান্দরের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট মর্গে পাঠিয়ে দেয়।জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রামে রয়েছে চাপা আতঙ্ক। নতুন করে অশান্তি এড়াতে প্রচুর পরিমাণে পুলিশি টহলদারি শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যায় যে, পিটিয়ে জোড়া খুনের অভিযোগ পুলিশ মোট ১৫ জনকে আটক করে। শনিবার ধৃতদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক চার জনকে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকীদের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর।