
শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার উদ্যোগে ২৩ জানুয়ারী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৯ তম জন্মদিন সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়। সকালে সাতকেন্দুরী কবি সুকান্ত শিশু শিক্ষাকেন্দ্র হতে একটি পদযাত্রা পুরশহর পরিক্রমার পর পাওয়ারহাউস মোড়ে নেতাজির আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। বিকেলে দুবরাজপুর পৌরসভা কার্যালয় অঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় নেতাজি স্মরণ-শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান।গান ও কথার মধ্য দিয়ে দেশনায়ক নেতাজিকে স্মরণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়, পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে, উপ পুরপ্রধান সওকত আলী মির্জা, অধ্যাপক ডঃ রবিন ঘোষ সহ অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বাচিক শিল্পী মানিক মুখোপাধ্যায় কথা ও কবিতায় উপস্থিত দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে দেয়। এদিন স্থানীয় বিশিষ্ট চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দে’কে সম্মাননা জ্ঞাপন করে পুরসভা। সম্প্রতি দেব সাহিত্য কুটির থেকে ছোটদের জন্য “চলো নেতাজির কাছে যাই” নামে তাঁর একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ইতিমধ্যে শাশ্বত সাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত হয়েছেন এই লেখক। চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি কলম নৈপুণ্যে পারদর্শী ডাক্তারবাবুর হাতে এদিন তুলে দেওয়া হয় শাল, মানপত্র সহ স্মারক।
বীরভূমের দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদেশ্বরী বিদ্যামন্দির নেতাজির জন্মদিনটিকে মেধাবৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণী দিবস হিসেবে পালন করে

বীরভূমের দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদেশ্বরী বিদ্যামন্দির দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৯ তম জন্মদিনটি যথোচিত শ্রদ্ধায় পালন করে। সেই সঙ্গে এই বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রাণপুরুষ স্বামী ব্রহ্মচারী নিত্যচৈতন্য মহারাজের জন্মদিনটি শ্রদ্ধা সহকারে পালিত হয়। এই ২৩ জানুয়ারী দিনটিতেই বিদ্যালয়ের মেধাবৃত্তি ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপস্থিত ছিলেন বিদ্যামন্দিরের পরিচালন কমিটির সম্পাদক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ, সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চণ্ডীদাস দত্ত, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের বড়বাবু খাইরুল আলম, শ্রী শ্রী সারদা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক শুভাশিস চট্টরাজ সহ সারদেশ্বরী বিদ্যামন্দিরের ও বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষিকা বৃন্দ এবং বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। প্রতিকৃতিতে মাল্যদান,পুষ্পার্ঘ্য প্রদান সেই সঙ্গে মাঙ্গলিক প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিনি সাহা। দিনটিকে স্মরণীয় করতে বক্তব্য তুলে ধরেন বক্তারা। এদিন ৫৫ জন ছাত্রীর হাতে তাদের মেধাবৃত্তি তুলে দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ে ছাত্রীরা নৃত্য, গান, কবিতা ইত্যাদি নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যামন্দির এর ইংরেজি শিক্ষিকা শুভণীতা মিত্র।শেষে অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা।
