
শম্ভুনাথ সেনঃ
সিঙ্গারায় চাটনি কম! বাড়তি চাটনি চান বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সেখ নাজিরউদ্দিন। কিন্তু দোকানের কর্মচারী বলেন, তিনটে সিঙ্গারায় একটি চাটনি দেওয়া হয়। এই কথা শুনে দোকান কর্মী জিতেন্দ্রনাথ সাহার গালে কষিয়ে চড় দেন ওই কাউন্সিলর। তারপর বেঁধে যায় তুলকালাম কাণ্ড। ঘটনাটি ঘটে গতকাল সন্ধ্যায় বীরভূমের দুবরাজপুর শ্মশানকালী মন্দিরের সন্নিকট কেশব বাবার দোকানে। প্রতিবাদে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে এলাকার মানুষ। আর এমন ঘটনাকে কেন্দ্র এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
দুবরাজপুরের শ্মশানকালী মন্দিরের সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঐ তেলেভাজার দোকান। সেই দোকানে সিঙ্গারা কিনতে গিয়েছিলেন দুবরাজপুর পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সেখ নাজিরউদ্দিন। তিনি সিঙ্গারা কেনার পর বাড়তি চাটনি চাইলে দোকানের কর্মী তিনটি সিঙ্গারার সঙ্গে একটি চাটনি দেওয়া হয় বলে জানান। কিন্তু তৃণমূল কাউন্সিলর সেখ নাজিরউদ্দিন এমন উত্তর শুনেই ওই কর্মীর গালে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দুবরাজপুরের ব্যবসাদার সহ স্থানীয় বাসিন্দারা দুবরাজপুর থানা মোড়ের কাছে রানীগঞ্জ-মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। সেই বিক্ষোভ প্রশমিত করতে ঘটনাস্থলে আসেন বীরভূমের তৃণমূল সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়, দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে, ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শওকত আলী সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা। বেশ কয়েক ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ থাকার পর শেষমেষ পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। এদিকে দুবরাজপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর সেখ নাজিরউদ্দিনকে আগেই সদাইপুর থানার পুলিশ নিয়ে গিয়ে আটক করে। গভীর রাতে তাকে দুবরাজপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। ততক্ষণে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল কাউন্সিলার নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নিলে বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটে।