
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
প্রকাশ্য দিবালোকে রামপুরহাট পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে খুন করে গাঢাকা দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন এলাকায় পাথর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে বন্ধ পালিত হয়। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাটের শালবাদরা এলাকায় গত ২৭ এপ্রিল রবিবার ঘটেছিল। এনিয়ে ব্যবসায়ীক মহলে আতঙ্কের বাসা বাঁধে। পরবর্তীতে ব্যবসার কি হবে? ক্রেতা বিক্রেতা সকলেই আতঙ্কিত। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা না গেলে কেউ আসবে না এলাকায়। জানা যায় রামপুরহাট থানার শালবাদরা এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে শ্যুট আউটে ২৮ বছরের এক যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দেয় নানান প্রশ্ন । পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট থানার শালবাদরার নিরিশা এলাকায় রবিবার সকাল ১১:৩০ নাগাদ ৮-৯ জনের একটি দুষ্কৃতী দল সুদীপ বাসকি (২৮) নামে এক যুবককে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় । পর পর কয়েকটি গুলির আঘাতে সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যু হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শরীর থেকে একটি গুলি বেরিয়ে গেলেও বাকি দুটি গুলি শরীরের মধ্যেই ঢুকে ছিল। ঘটনার দিন টাকা পয়সার হিসাবের সাপ্তাহিক আদান-প্রদান চলছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে হামলা। কি কারনে খুন, ব্যবসায়িক না অন্যকিছু? এনিয়ে ধন্দে সকলেই। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই হামলা বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুস্কৃতী দল নিশ্চিন্তে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে শুরু করেছেন। উল্লেখ্য ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা সীমান্তবর্তী পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় খুন করে বাংলা ছেড়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মধ্যে গাঢাকা দেয়। এরূপ ঘটনার পূর্বতন নিদর্শন রয়েছে বলে স্থানীয় মানুষের বক্তব্য। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন রহস্য উন্মোচনে থেমে থাকেনি। তাইতো ৭২ ঘন্টার মধ্যেই নিহত সুদীপ বাস্কির নিজ গ্রাম সুলঙ্গা থেকে রাজেন টুডু (মোটু), অমিত টুডু (গেনা), অক্ষয় মির্ধা এবং আলডেন বাস্কি নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার ধৃত চারজনকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে চারজনকেই দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।