
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের দামামা বেজে গেছে। মঙ্গলবার রাতে বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটিতে বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ধুলিসাৎ করা হয়েছে। সেই সাথে বহু জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এদিকে বীরভূম পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ জেলার দাঙ্গা পীড়িত এলাকায় আতঙ্কের ছাপ মুছতে না মুছতেই ফের আতঙ্কের ছোয়া লাগল। কারণ বীরভূমের সীমান্তবর্তী নলহাটি থানা এলাকার মধ্যে বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় এবং এগুলো মুর্শিদাবাদ সহ অন্য জেলায় পাচার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানতে পারেন।জানা যায় ডিএসপি ডিইবি স্বপন কুমার চক্রবর্তী বুধবার গোপন সূত্রে খবর পান যে, নলহাটি থানা এলাকার পাসিনালা গ্রামের মধ্যে একটি গোডাউনে বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদ রয়েছে।

সেই প্রেক্ষিতে এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সেখানে ডিএসপি ডিইবি র নেতৃত্বে অতর্কিতে হানা দেওয়া হয় মোদনা প্রাইভেট স্কুলের সামনে অবস্থিত একটি বিশাল গোডাউনে। সরজমিনে গিয়ে দেখতে পান গোডাউনে তালাবদ্ধ এবং শক্তভাবে চাবি দিয়ে আটক করা হয়েছিল। সন্দেহ গাঁঢ় হতেই দুটি দরজা ভেঙে দুটি অনুরূপ কক্ষের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় যা কক্ষের ভেতরে লুকিয়ে রাখা ছিল। উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক দ্রব্যের মধ্যে মোট ২৬টি জেলোটিন সাইক। প্রতিটিতে ২০০ পিসি। বিস্ফোরক ডেটোনেটর ৩টি প্যাকেট, প্রতিটিতে ১৫০০ পিসি। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ৩১ প্যাকেট, প্রতিটিতে ৫০ কেজি। জানা গেছে যে নলহাটির একজন সাহেয়া আলম ওরফে বিকি অননুমোদিতভাবে এই ধরনের বিস্ফোরক সংগ্রহ করে রেখেছেন। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে ও জানুয়ারী ২০২৫ এর প্রথম সপ্তাহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিশেষ উল্লেখ্য প্রথম গোডাউন থেকে প্রায় ২০০ মি. দূরে অন্য একটি গুদামেও দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট-৩২ প্যাকেট। জেলোটিন স্টিক-১০ প্যকেট এবং ডেটোনেটর-১ প্যাকেট।

প্রতি ব্যাগে মোট জব্দকৃত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ৫৮ প্যাকেট। প্রতিটি প্যাকেট ৫০ কেজি ওজনের। প্রতি প্যাকেট জেলটিন স্টিক-১৭ প্যাকেট ২০০ প্যাকেট এবং প্রতি প্যাকেট ডেটোনেটর-২ প্যাকেট ১৫০০ প্যাকেট। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে,বিস্ফোরকগুলি মুর্শিদাবাদের মতো সীমান্তবর্তী অন্যান্য জেলায়ও পরিবহন করা হয়। বিশাল বিস্ফোরক উদ্ধারে স্থানীয় জনমানসে আতঙ্কের ছাপ। আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সমস্ত বিস্ফোরক ডিভাইস আইসি নলহাটি থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা যায়।