সন্তোষ পালঃ
অবিভক্ত বাংলার হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের তিন দিন ব্যাপী ১২৫ তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ২৬ জুন শেষ হল। তৃতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হা, হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর গৌতম চট্টোপাধ্যায়, হেতমপুর রাজবাড়ীর সদস্যা বৈশাখী চক্রবর্তী, কলেজের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপিকা প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়ারা। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা একটি কক্ষ উদ্বোধন করেন এবং বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুরে অবস্থিত রাঢ় বঙ্গের এই প্রাচীন কলেজের গৌরব কাহিনী বর্ণনা করেন। এদিন কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক অধ্যাপিকা ও প্রাক্তন কর্মচারীদের সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া প্রাক্তনীদের পুর্নমিলন উৎসবের আয়োজন করা হয়। কলেজের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়, এদের মধ্যে ছিলেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র তথা কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রণব কুমার চট্টোপাধ্যায়, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনুপম দত্ত বিশিষ্ট গবেষক, বিজ্ঞানী ডক্টর বিশ্বজিৎ রুজ, বিশিষ্ট অভিনেতা অতনু বর্মন, দুবরাজপুর শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ সহ ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তাদের হাতে ১২৫ বছর পূর্তির স্মারক তুলে দেন অধ্যক্ষ ডঃ গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও অন্যতম অতিথি পূর্ণিমা মিত্র। প্রাক্তন ছাত্র তথা বিজ্ঞানী-গবেষক ডঃ বিশ্বজিৎ রুজ কলেজের অধ্যক্ষের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।তার বাৎসরিক সুদ কলেজের কেমিস্ট্রি বিভাগের ফাইনাল বর্ষের টপার ছাত্র প্রাপক বলে গণ্য হবে।উল্লেখ্য সমগ্র ভারত বা বিশ্বজুড়ে নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই কলেজের বহু ছাত্র গবেষক যারা নজির সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন সমস্ত কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকা, কর্মচারী এককথায় সকলের সহযোগিতায় আমরা ১২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করতে পারলাম।আগামীকাল থেকেই ১২৬ বছরে পদার্পণ করবে এই কলেজ।