বন্যা দুর্গত অঞ্চলে তৎপর জেলা পুলিশ, শুরু সহায়তা শিবির

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

বর্ষা এবার অনেক আগেই ঢুকে পড়েছে। সেই প্রেক্ষিতে প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি একনাগাড়ে চলছে। যার জেরে জেলার বহু নদনদী দুকুল ছাপিয়ে বয়ে চলেছে। কোথাও কোথাও বন্যার উপক্রম। মঙ্গলবার ১৫ জুলাই বিকেল চারটা নাগাদ ব্রাহ্মণী নদীর রামপুর ও মক্রমপুর গ্রামের মধ্যবর্তী বাঁধে হঠাৎ ফাটল দেখা দেয়। পরবর্তীতে উক্ত ফাটল দ্রুত বিস্তৃত হয়ে প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। এরফলে মক্রমপুর, রানীনগর সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয়। বিস্তীর্ণ চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । বিষয়টি জানার পরপরই বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির বাস্তব অভিজ্ঞতা নেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারি করেন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (DMG)কে রাতের মধ্যেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় নজরদারির জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ সুপার গ্রামবাসীদের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক বুধবার সকাল থেকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (DMG)-র দল মাঠে নামে। মকরমপুর গ্রামে খোলা হয় একটি কমিউনিটি কিচেন। যেখানে মক্রমপুর, রানীনগর ও কানুপুরের বহু বন্যা দুর্গত মানুষ খাবার গ্রহণ করে।
নদীর জল কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু হয়। বাঁধ মেরামতির কাজ জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দ্রুতগতিতে শুরু হয়েছে যা উভয় দিক থেকেই পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কার্যকরী উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *