
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
২৭ জুলাই ২০০১ বীরভূম জেলার অধীনস্থ নানুর ব্লকের অন্তর্গত সূচপুরের মাটি রক্তে লাল হয়ে উঠেছিল। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সিপিএম বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে গণহত্যা সংঘটিত হয়। যা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল হয়ে ওঠে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবছর দিনটি বাসাপাড়ায় শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই দিনটিকে এবার আরও দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়ন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য ২১ জুলাই কোলকাতায় শহীদ সমাবেশ থেকেই বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন যার মধ্যে নানুর দিবস ও বিশেষ স্থান পায়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ এবং নানুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব এই আয়োজনের দায়িত্ব নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এদিন শহীদদের প্রতি সম্বর্ধনা জ্ঞাপন ও মাল্য দানের মাধ্যমে শহিদ বেদীর উদ্দেশ্য নিয়ে একত্রিত হয়েছেন এক নতুন বাংলার স্বপ্নে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, ডেপুটি স্পিকার ডঃ আসিস ব্যানার্জি, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, অভিজিৎ সিনহা ও বিধানচন্দ্র মাজি, সাংসদ অসিত মাল-সহ জেলার অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব ।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আজ বাংলার মানুষ এক নতুন ইতিহাসের সাক্ষী। গণতন্ত্রের লড়াইয়ে শহিদদের আত্মবলিদানকে কেন্দ্র করে এই জনসমুদ্র শপথ নিচ্ছে-বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। এ যেন শুধুই একটি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়-এ এক আবেগ, এক আত্মত্যাগের শ্রদ্ধাঞ্জলি, এক নতুন পথচলার দৃঢ় সংকল্প বলে দলীয় কর্মীদের অভিমত।