
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গত ৭ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত চারদিনব্যাপী রাজ্যজুড়ে আদিবাসী দিবস উদযাপন হচ্ছে। সেই মোতাবেক ৯ আগস্ট দুবরাজপুর ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির সহায়তায় এবং ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কমিউনিকেশন এন্ড সার্ভিসেস সেন্টার নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় পারুলিয়া পঞ্চায়েতের বীরনারায়নপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নানান কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়। জল, জমি, জঙ্গল সহ বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড, ব্যানার, আদিবাসী নৃত্য ও গান সহযোগে পদযাত্রা গ্রাম পরিক্রমা করে। আদিবাসী বীর শহীদদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, দুবরাজপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রাজা আদক, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি স্বপন কুমার মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধক্ষ্য রফিউল হোসেন খাঁ, জেলা পরিষদের সদস্য মুনমুন ঘোষ, পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোমা সরেন, স্থানীয় সমাজসেবী নুরুল হুদা,জরিফ হোসেন খান সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত বক্তারা আদিবাসীদের সংগ্রাম, অধিকার, শিক্ষা সহ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কি কি উন্নয়ন হয়েছে তাহা ও তুলে ধরা হয়। সেই সাথে জেলার এক জ্বলন্ত সমস্যা কম বয়সে বিয়ে, এটাকে বন্ধ করতে সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে বলে আহ্বান জানান। আজকের অনুষ্ঠান সম্পর্কে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত বিবরণ দেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে রীতা ভান্ডারী।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আদিবাসী দিবস পালন, রাজনগর ব্লক এলাকায়

৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস। সেই উপলক্ষে সরকারি বেসরকারি ভাবে দিনটি যথাযথ ভাবে পালনের খবর পাওয়া গেছে। সেরূপ বিএম জেড জার্মানি ও নেটজ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তায় এবং ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কমিউনিকেশন এন্ড সার্ভিসেস সেন্টার নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালনায় রাজনগর পঞ্চায়েতের বাবুপুর ও তাঁতীপাড়া পঞ্চায়েতের মানিকডিহি গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত স্বনির্ভর দলের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভায় আদিবাসীদের মৌলিক অধিকার রক্ষা, কুসংস্কার দূরিকরণ, বাল্যবিবাহ রোধ, শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়।পাশাপাশি আদিবাসী নৃত্য,গান সহ নানান কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়। কচিকাঁচা সহ উপস্থিত সকলের চোখে মুখে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন পৃথক পৃথক ভাবে দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সনাতন হাঁসদা, বিপ্রনাথ মার্ডি, দেবিশ্বর হেমব্রম, সর্বেশ্বর হাঁসদা কালীরাম মুরমু,সংগঠনের কর্মী কাকন রুজ, গৌরাঙ্গ দাস, দেবব্রত চন্দ্র, চন্দ্রনাথ ঘোষ, সুশান্ত পাল, পুজা দাস, পাপড়ি কাহাড়, চন্ডী চরন মন্ডল প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।


