
শম্ভুনাথ সেনঃ
প্রতিবছরের মতো এই বছরও “শ্রীকৃষ্ণের রূপসজ্জা প্রদর্শন“ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করল সংস্কার ভারতী দক্ষিণ বঙ্গ বীরভূম জেলা। বীরভূমের সিউড়ি পাইকপাড়া সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দির বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ প্রায় ৭০ জন খুদে কৃষ্ণদের লীলায় হয়ে উঠেছিল বৃন্দাবন ধাম। এদিন বিচারকের আসন উজ্জ্বল করে ছিলেন সিউড়ির স্বনামধন্য বিশিষ্ট শিক্ষক, সাহিত্যিক ও সমাজ চিন্তক সব্যসাচী ধর, বিশিষ্ট থিয়েটার কর্মী ও নাট্য পরিচালক, উত্তম চট্টোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট শিক্ষক ও চিত্রশিল্পী নীলাদ্রি ঘোষ। শ্রীকৃষ্ণের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ক এবং খ দুটি পর্বে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেকটি প্রতিযোগী বিচারক ও দর্শক মণ্ডলীর সামনে তাদের কৃষ্ণের লীলা প্রদর্শন করে। মঞ্চে ক্ষুদে শ্রীকৃষ্ণরা কখনও মাখন চুরি ক’রে সেই মাখন ভক্ষণে ব্যস্ত, কখনবা ত্রিভঙ্গ মুরারি ঠামে বংশীধ্বনিতে মঞ্চ ক’রে তুলেছিল মুখরিত, কখন আবার রাধার সাথে লীলা প্রদর্শনে ছিল মগ্ন, আবার বকাসুর বধ পরিবেশন এর মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের সখ্যতা প্রদর্শনে মঞ্চ উদ্ভাসিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক গোপালের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র। সম্মানীয় বিচারকেরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দুই বিভাগ থেকে তিন জন প্রতিযোগীকে জয়ী রূপে ঘোষণা করেন।