ফুল্লরা-মহাপীঠ

নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ

লাভপুরের পূর্বপ্রান্তে ‘ফুল্লরা-মহাপীঠ’। ছোট্ট এক কাননের মধ্যে এই পীঠক্ষেত্র দেখে সহজেই পুরাণে বর্ণিত তপোবনের স্মৃতি জাগে। দেবীর মন্দিরের সামনে একটি নাটমন্দির রয়েছে, যা স্বর্গীয় যাদববাবুর ইচ্ছানুযায়ী তাঁর পুত্রেরা নির্মাণ করেছিলেন। ভোগমন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন লাভপুরের হরিলাল দত্ত। নাটমন্দিরের দক্ষিণদিকে একটি পুষ্করিণী রয়েছে, যার ঘাট বাঁধানো হয়েছিল লাভপুরের জমিদার স্বর্গীয় হিরণ্যভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। ঘাটের দুই প্রান্তে যাদববাবুর প্রতিষ্ঠিত দুটি শিবমন্দির স্থানটির সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করেছে।

ফুল্লরা মহাপীঠের ভিডিও দেখতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন।

মহাপীঠের অদূরে একটি জায়গার নাম ‘যোগিনীতলা’। পীঠের ইশান কোণে ‘যুদ্ধডাঙ্গা’ নামে আরেকটি স্থান রয়েছে, প্রচলিত আছে যে এককালে এখানে অসুরবধ হয়েছিল। মহাপীঠের পূর্বদিকে (এবং দক্ষিণে আংশিক বিস্তৃত) একটি বিশাল জলাশয়ের চিহ্ন আজও বিদ্যমান। জনশ্রুতি আছে, একসময়ে এখানে নীলপদ্মের বন ছিল। কথিত আছে, রামচন্দ্র রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার আগে দেবী দুর্গাকে প্রসন্ন করার জন্য ১০৮টি নীলপদ্ম দিয়ে পূজা করছিলেন। পবনপুত্র হনুমান এই স্থান থেকে নীলপদ্ম সংগ্রহ করেছিলেন।

প্রবীনরা আরও বলেন, এই স্থানে একসময় একটি সুবৃহৎ নৌকা ডুবে গিয়েছিল। জলের স্তর নেমে গেলে অনেকবার সেই নৌকার মাস্তুল ইত্যাদি দেখা গেছে।

তথ্যসূত্রঃ বীরভূম বিবরণ (দ্বিতীয় খণ্ড)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *