
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
অপরাধ প্রবণতা কমাতে যখন সিসি ক্যামেরার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। প্রশাসনিক ভাবে পুজোর মন্ডপে মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা বলা হচ্ছে। অথচ লোকপুর থানার উদ্যোগে একদা এলাকায় লাগানো সিসি ক্যামেরা দীর্ঘদিন ধরে অচল। যার ফলে স্থানীয় লোকপুর হাট বাজার এলাকায় মোবাইল চুরির প্রবনতা বাড়ছে। সম্প্রতি এক মোবাইল চুরির ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে লোকপুর থানার পুলিশ। সেই প্রেক্ষিত স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে লোকপুর থানার পুলিশ একটি মিটিংও ডাকেন। সেখানে বাজার এলাকায় চুরির প্রবনতা রোধে সিসি ক্যামেরা বসানোর আলোচনা হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ী প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা এবং বাকি টাকা থানা কর্তৃপক্ষ দিয়ে এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা বলা হয়। এবিষয়ে ব্যবসায়ী মহলের বক্তব্য ব্যাক্তিগতভাবে অনেকেই নিজেদের উদ্যোগে দোকানে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নিয়েছে। আপাতত বাজার, বাসস্ট্যান্ড সহ জনবহুল এলাকায় যেসমস্ত সিসি ক্যামেরাগুলো থানা থেকে আগেই বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগানো হয়েছিল সেগুলো রিপিয়ারিং করে সচল করা প্রয়োজন। তাহলে অনেকটাই অপরাধ প্রবণতা তথা চুরি রোধ করা সম্ভব। এলাকায় গুঞ্জন হাটে বাজারে মোবাইল চুরির খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হতেই পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে এক মোবাইল চোর পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে থানা থেকে উধাও হয়ে যায় মোবাইল চোর। এযেন বজ্র আঁটুনি ফোস্কা গেরো। জনবহুল এলাকায় বিদ্যুৎ এর খুঁটিতে বিরাজমান পুরাতন সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করার বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দত্ত, উজ্জ্বল বহড়াদের মতো অনেকেই লোকপুর থানা ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।